বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪, ঢাকা

কলেজ শিক্ষিকার মৃত্যু: যা বলছেন প্রতিবেশীরা

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২২, ১১:১৫ এএম

শেয়ার করুন:

কলেজ শিক্ষিকার মৃত্যু: যা বলছেন প্রতিবেশীরা

নাটোরের গুরুদাসপুরে মো. মামুন হোসেন (২২) নামে এক ছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকার প্রতিবেশীরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়েছেন।

ভবনের বাসিন্দা ও প্রতিবেশীরা জানান, আজ ভোরে ওই শিক্ষিকার স্বামী মামুন ভবনের অন্য বাসিন্দাদের জানান, তার স্ত্রী খায়রুন নাহার শেষ রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনা শোনামাত্র তারা তাদের ভাড়া বাসতে যায়। এরপর লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের মরদেহ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পায়। এতে তাদের সন্দেহ হয়। এরপর তারা মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।


বিজ্ঞাপন


এর আগে রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় এক ভাড়া বাসাতে তার মরদেহটি পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর সদর থানার কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ।

তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অন্য বাহিনীর সদস্যরাও তদন্ত করবে। তদন্ত ও লাশের ময়নাতদন্ত হলে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে হত্যা আর আত্মহত্যা যাই হোক না কেন এমনটা ঘটলো কেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে।

শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।


বিজ্ঞাপন


গত ৩১ জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় বিয়ের খবরটি ভাইরাল হয়। এতে সারা বাংলাদেশে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে দুজন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাসের বেশি সময় পার হওয়ার পর সম্প্রতি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং মামুন নাটোর এন এস সরকারী কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর