কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল এক্সপ্রেসের চলন্ত বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডাকাতির পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার মূলহোতা রাজা মিয়াকে জিজ্ঞাসাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বাদল কুমার চন্দ এ আদেশ দেন বলে আদালত পুলিশ জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গত মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসার পথে সেটিতে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
টানা তিন ঘণ্টা যাত্রীদের ওপর অত্যাচার চালানোর পর টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মধুপুরের রক্তিপাড়া জামে মসজিদ এলাকায় রাস্তার পাশের বালির ঢিবিতে পরিবহনটি উল্টে দিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
আরও পড়ুন: বাসে ধর্ষণ: বার বার ছেড়ে দিতে আকুতি জানিয়েও রেহাই পাইনি
খবর পেয়ে বুধবার সকালে মধুপুর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে কুষ্টিয়ায় একটি মামলা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
ঘটনাটি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে আসামিদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। এর মধ্যে মূলহোতা রাজা মিয়াকে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
দুপুরে গ্রেফতার রাজার বিষয়ে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, গ্রেফতার রাজা টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা এলাকার বাসিন্দা। তিনি টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন।
গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই করা তিনটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, রাজা মিয়া টাঙ্গাইল-চন্দ্রা পথে চলাচলকারী ঝটিকা পরিবহনের বাসের চালক। বাসটির মূল চালক মনিরুল ইসলাম মনিরকে সরিয়ে রাজা মিয়া বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেন। মনিরকে তখন বাসের পেছনে বেঁধে রাখা হয়। পরে রাজা মিয়াই তিন ঘণ্টা ধরে বাসটি চালিয়েছেন। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে রাজা মিয়া তার অপর সঙ্গীদের নাম পুলিশকে বলেছেন বলেও জানান তিনি।
এমআর