শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

রহিমার ভালোবাসায় যশোরে হাসপাতাল নির্মাণ আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ারের

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২ আগস্ট ২০২২, ০৭:০৯ পিএম

শেয়ার করুন:

রহিমার ভালোবাসায় যশোরে হাসপাতাল নির্মাণ আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ারের
ছবি: ঢাকা মেইল

প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার ক্রিস্ট মার্ক হোগল যশোরের কেশবপুরের মেহেরপুর গ্রামে মেয়ে রহিমা খাতুনের সঙ্গে ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবন পার করেছেন। তবে নতুন খবর হলো, ভালোবাসার মানুষটির নাম চিরকাল অক্ষত রাখতে ‘রহিমা সৌলডারস্’ নামে একটি হাসপাতাল নির্মাণ করছেন।

>> আরও পড়ুন: ১ টাকায় চা-মসলা পান

উপজেলার মেহেরপুর গ্রামে চারতলা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ করছেন ইঞ্জিনিয়ার ক্রিস্ট মার্ক হোগল। প্রথমে চারতলা বিশিষ্ট নির্মাণাধীন ভবনটি নিজের বাড়ি করার জন্য তৈরি হলেও পরে ভালোবাসার মানুষটির জন্য হাসপাতাল তৈরি সিদ্ধান্ত নেন। আর হাসপাতালে নাম দিলেন ‘রহিমা সৌলডারস্’। এই হাসপাতালে আমেরিকান এবং বাংলাদেশি ডাক্তারেরা সেবা দান করবেন বলে জানা গেছে।


বিজ্ঞাপন


রহিমা খাতুন বলেন, ক্রিস্ট মার্ক এখানে একটি বাড়ি নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তার এ সিদ্ধান্তের পরিবর্তন ঘটেছে। তিনি আমাকে ভালোবেসে গ্রামের মানুষের জন্য তার বাড়িটিকে একটি হাসপাতাল তৈরি করেছেন। আগামী এক বছরের মধ্যে এ হাসপাতাল তৈরির কাজ শেষ করবে বলে আশাবাদী তিনি।

প্রেমের গল্প শুনতে চাইলে রহিমা বলেন, ‘খুব ছোটো বেলায় অভাবে কারণে বাব-মায়ের হাত ধরে ভারতে চলে যাই। মা পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতে একটি বাড়িতে গৃহকমীর কাজ নেয়। ১৩ বছর বয়সে বাবা আমাকে বিয়ে দিয়ে দেন। একে একে কোলজুড়ে আসে তিনটি সন্তান।’

>> আরও পড়ুন: প্রেমের টানে যুক্তরাষ্ট্রে ঝিনাইদহের মিঠুন

জানান, সেই সংসারে অভাব-অনটনের কারণে প্রাক্তন স্বামী গ্রামের জমি বিক্রি করে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। বাধ্য হয়ে জীবিকার সন্ধানে মুম্বাই শহরে যান তিনি। সেখানে থাকাকালীন হঠাৎ একদিন সন্ধ্যায় ক্রিস্ট মার্ক হোগলের সঙ্গে রহিমার পরিচয় হয়। প্রথম দেখাতেই রহিমাকে ভালো লেগে যায় তার।


বিজ্ঞাপন


হিন্দিতে দু-এক লাইন কথা বলার পর তারা আবার দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। এভাবেই ভালোলাগাটা আস্তে আস্তে ভালোবাসাতে রূপ নেয়। ছয় মাস প্রেমের পর বিয়ে করেন। পরে কেশবপুরের মেহেরপুর রহিমার বাবার ভিটায় ফিরে আসেন। সেখানেই দেখতে দেখতে পার করেছেন পাঁচটি বছর। 

>> আরও পড়ুন: রাজশাহীতে দুই ট্রেন মুখোমুখি, গতি কম থাকায় রক্ষা

ক্রিস্ট মার্ক হোগল বলেন, রহিমার মতো স্ত্রী পেয়ে আমি অনেক সুখে শান্তিতে আছি। বাকিটা জীবন রহিমাকে পাশে নিয়ে পার করতে চাই।

প্রতিবেশি তুহিন হোসেন বলেন, তারা সুখে শান্তিতে সংসার করছে। তাদের দুজনের কখন ঝগড়া করতে দেখিনি। তবে ক্রিস্ট মার্ক একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। রহিমাকে ভালোবেসে গ্রামের মানুষের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণ করছেন।’

প্রতিনিধি/এজে/এএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর