শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

৬৪৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা জালিয়াতি

কুমিল্লা ৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী জাকারিয়া সুমনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২১ পিএম

শেয়ার করুন:

কুমিল্লা ৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী জাকারিয়া সুমনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবং কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসন থেকে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী জাকারিয়া তাহের সুমন।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবং কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসন থেকে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী জাকারিয়া তাহের সুমনের বিরুদ্ধে ৬৪৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খান মামলাটি দায়ের করেছেন বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জাকারিয়া তাহের সুমনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ৬৪৭ কোটি টাকার একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ভুয়া ও জাল নথিপত্রের মাধ্যমে ঋণ প্রক্রিয়াকরণ ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করে রাষ্ট্রীয় ও ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের দিলকুশা শাখার গ্রাহক প্রতিষ্ঠান মানহা প্রিকাস্ট টেকনোলজি লিমিটেড জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ গ্রহণ করে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. মনসুর আলী এবং সিইও সৈয়দ মাহতাব উদ্দিন মাহমুদ ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে সরাসরি সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী বদল

দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আসলামুল হকের স্ত্রী মাকসুদা হক, ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এমডি এম এ ওয়াদুদ, চৌধুরী মোসতাক আহমেদ, ডিএমডি সৈয়দ রইস উদ্দিন, এ এস এম বুলবুল এবং সাবেক পরিচালক মনোয়ারা সিকদার।


বিজ্ঞাপন


দুদক জানিয়েছে, জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, প্রাথমিক তদন্ত শেষে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে এবং বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলার তদন্তে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা রয়েছে কি না, তা যাচাই করা হবে।

এ বিষয়ে জাকারিয়া তাহের সুমনের মোবাইল নম্বরে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর