কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কৃষি-আবাদি জমির টপসয়েল কেটে বিক্রির দায়ে মো. বাবুল নামে এক মাটি বিক্রেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক জরিমানা আদায়ের পর অভিযুক্ত মাটি বিক্রেতাকে ভবিষ্যতে আর এমন কাজ করবেন না মর্মে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের নালঘর এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাফকাত আলী। এ সময় থানা পুলিশের একটি টিম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
বিজ্ঞাপন
সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাফকাত আলী।
তিনি জানান, বুধবার বিকেলে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের চন্দ্রপুর এলাকায় উপজেলার প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় কৃষি জমির টপসয়েল কেটে অন্যত্র বিক্রির দায়ে ‘বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০’ এর ১৫ ধারা অনুযায়ী চিহ্নিত এক মাটি ব্যবসায়ীকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা ও তাৎক্ষণিক জরিমানার অর্থ আদায় করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাফকাত আলী আরও বলেন, গত কয়েকদিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে মাটি ব্যবসায়ীদের জরিমানা ও অর্থ আদায়ের ঘটনায় উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণের মনে কিছুটা স্বস্থি ফিরে এসেছে। অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কাটা প্রতিরোধে, আবাদি জমি ও পরিবেশ রক্ষার্থে এবং জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রতিনিধি/টিবি

