নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সুখচর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জলদস্যুদের দুই গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। তবে মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত শেষে হাতিয়ায় পাঠানো হয়েছে। একটি মরদেহের গায়ে গুলির চিহ্ন ও অন্যগুলোর গায়ে দেশীয় অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
পরিচয় পাওয়া নিহত পাঁচজন হলেন- সুখচর ইউনিয়নের মহি উদ্দিনের ছেলে মো. আলাউদ্দিন (৪০), জাহাজমারা ইউনিয়নের মো. শামসুদ্দিন (কোপা শামসু) ছেলে মো. মোবারক হোসেন (২৩), সুমনা তোর উপজেলার জয়নাল আবেদীন ছেলে আবুল কাশেম (৬২), হাতিয়া পৌরসভার মৃত শাহি আলমের ছেলে হক সাব (৬০) চানন্দী ইউনিয়নের মৃত সেকুর ছেলে কামাল উদ্দিন (৪০) প্রমুখ। এর মধ্যে আহত মো. সোহরাব (২৫) নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের খবির উদ্দিনের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
![]()
ময়নাতদন্ত বিষয়ে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরি বলেন, হাতিয়ায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত পাঁচ জনের ময়নাতদন্ত বিকেলে শেষে হয়েছে। মরদেহগুলোর একটির মধ্যে গুলির চিহ্ন থাকলেও অন্য চারটিতে দেশীয় অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এর মধ্যে একটি লাশের ময়নাতদন্ত শেষ করেন ডাক্তার ওয়ালিউল্লাহ মাসুম আর অন্য চারটি মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করেন ডাক্তার রানা চৌধুরি।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড প্রশাসন) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন জানান, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে হাতিয়া থানায় পাঠানো হয়েছে। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এসএস

