উত্তরের জেলা দিনাজপুরে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা শীত ও হিমেল বাতাসে এ অঞ্চলের মানুষ চরম ভোগান্তিতে দিন কাটাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন।
ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে ভোর থেকেই সড়কে মানুষের চলাচল কমে গেছে। শীত থেকে বাঁচতে অনেককে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। কেউ কেউ আশ্রয় নিচ্ছেন চায়ের দোকানে, ভিড় জমিয়ে গরম চা খেয়ে শরীর গরম করছেন। কুয়াশার কারণে দূরপাল্লার যানবাহনগুলোও হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে।
এদিকে, তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ। কাজের সুযোগ কমে যাওয়ায় তাদের দৈনন্দিন জীবন ও জীবিকা নির্বাহে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা।
ট্রাকচালক হাবিব ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, গত তিন দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় ঠিকমতো কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এতে গাড়ি চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গতি কমিয়ে চলতে হচ্ছে, ফলে গন্তব্যে পৌঁছাতে আগের চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগছে।
বিজ্ঞাপন
অটোরিকশার চালক কাশেম বলেন, এত কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে মানুষ ঘর থেকে বের হতে চায় না। যাত্রী কমে গেছে অনেক। আগে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ভাড়া আয় হতো, কিন্তু গত দুই দিন ধরে তা নেমে এসেছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। শীত এলেই আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট দ্বিগুণ হয়ে যায়।
দিনমজুর আলী বলেন, ঠান্ডা বেশি পড়ায় কাজ প্রায় নেই বললেই চলে। শীতের কারণে অনেকেই কাজ করাতে চায় না। কাজ না থাকলে সংসার চালানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
আলু চাষি পরিমল রায় বলেন, ভোরে আলু ক্ষেতে পানি দিতে এসেছি। কিন্তু যে পরিমাণ ঠান্ডা পড়েছে, বেশিক্ষণ মাঠে থাকা যাচ্ছে না। শরীর কাঁপতে থাকে, বাধ্য হয়ে কাজ শেষ না করেই বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন
দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৬টায় দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
প্রতিনিধি/টিবি

