গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইসবপুর দ্বি-মুখী ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা মুহা. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় ওই সুপারের দুর্নীতির সত্যতা পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার হারুন অর রশিদ।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইসবপুর দ্বি-মুখী ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসায় সুপারিনটেনডেন্ট মুহা. রেজাউল করিম নিয়োগ বাণিজ্যসহ রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর একেএম আজিজুল বারীর সঙ্গে আতাঁত করে গোপনে অবৈধভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। সেইসঙ্গে শিক্ষকদের বেতন স্কেল বৃদ্ধির নামে টাকা গ্রহণ ও জেনারেল ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তিনি। এছাড়াও একাধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে শোকজ দিয়ে লাখ লাখ টাকা তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে সেই শোকজ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ অক্টোবর মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি গোপনে গঠন করেছেন এই সুপার রেজাউল করিম। শুধু তায় নয়, অভিযুক্ত সুপারের ছেলে তানভীরুল ইসলামকে ২০২৫ সালে একইসাথে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থী দেখিয়ে প্রক্সির মাধ্যমে তাকে পাস করিয়ে নিয়েছে। আর এই ছেলেকে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা করছে এই সুপার।
বিজ্ঞাপন
সাদুল্লাপুর উপজেলা মাধ্যমিক অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার হারুন অর রশিদ বলেন, ইসবপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনে শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীকে না জানিয়ে প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই বিধি বহির্ভূতভাবে প্রিজাইডিং অফিসারকে ম্যানেজ করে অতি গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধিই জানেন না তারা কমিটিতে নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মাদরাসাটির সরেজমিনে পরিদর্শন করে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনের কোনো আলামতও পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন অভিযোগের সঠিকতা আছে বলে তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস

