বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সাদুল্লাপুরে মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

সাদুল্লাপুরে মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইসবপুর দ্বি-মূখী ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মুহা. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে সিমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। এরই প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে তদন্ত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার হারুন অর রশিদ।


বিজ্ঞাপন


এর আগে, বুধবার (১০ ডিসেম্বর) অফিসটির কার্যালয়ে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মাদরাসাটির শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।  

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ইসবপুর দ্বি-মূখী ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসায় সুপারিনটেনডেন্ট মুহা. রেজাউল করিম নিয়োগ বাণিজ্যসহ রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর একেএম আজিজুল বারীর সঙ্গে আতাঁত করে গোপনে অবৈধভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। সেইসঙ্গে শিক্ষকদের বেতন স্কেল বৃদ্ধির নামে টাকা গ্রহণ ও জেনারেল ফান্ডের অর্থ আত্নসাত করেছেন তিনি। এছাড়াও শিক্ষক মনজুরুল ইসলামসহ আরও একাধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে শোকজ দিয়ে লাখ লাখ টাকা তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে সেই শোকজ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ অক্টোবর মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি গোপনে গঠন করেছেন সুপার রেজাউল করিম। সেখানে তার শ্যালক মনজুরুল ইসলামকে সভাপতি বানিয়েছেন। সামনে একাধিক পদে নিয়োগ বাণিজ্যের লক্ষ্যে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে গোপন কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুধু তায় নয়, অভিযুক্ত সুপারের ছেলে তানভীরুল ইসলামকে ২০২৫ সালে একইসঙ্গে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থী দেখিয়ে প্রক্সির মাধ্যমে তাকে পাস করিয়ে নিয়েছে। আর এই ছেলেকে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা করছে এ সুপার। আর এসব ঘটনার পর ইতোমধ্যে অভিযুক্ত সুপার রেজাউল করিম প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত আছেন। তার নানা দুর্নীতির প্রতিবাদে এলাকাবাসী বিক্ষোভ-মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করলেও এখনো ব্যবস্থাগ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।   

উপজেলা মাধ্যমিক অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার হারুন অর রশিদ বলেন, সুপার রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্ত বুধবার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অভিযোগকারীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত থাকলেও অভিযুক্ত সুপার অনুপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে তাকে ফের তলব করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


অবৈধভাবে গোপন ম্যানেজিং কমিটিতে রাখা টিআর সদস্য সেলিনা আক্তার বলেন, একটি মিটিংয়ের কথা বলে সুপার মহোদয় আমাকে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডাকেন। সেখানে উপস্থিত হলে মিটিংয়ের নামে আমার স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। তবে সেটি নতুন কমিটি হচ্ছে তা আমাকে জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে ইসবপুর দ্বি-মূখী ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মুহা. রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

প্রতিষ্ঠানটির সহ-সুপার খাইরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ম্যানেজিং কমিটি গঠনের বিষয়টি জানা নেই। এ সংক্রান্ত জবাব লিখিতভাবে একাডেমিক সুপারভাইজারকে দেওয়া হয়েছে।

সাদুল্লাপুর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর একেএম আজিজুল বারী জানান, গত ২৫ অক্টোবর ওই মাদসার কমিটি গঠন হয়েছে। সেই কমিটি অনুমোদনের জন্য বোর্ডে পাঠিয়েছি।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর