সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

দমিনায় ককটেল বিস্ফোরণ, ঘর ভাঙচুর, মালামাল লুট, আহত ৩

জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম

শেয়ার করুন:

দমিনায় ককটেল বিস্ফোরণ, ঘর ভাঙচুর, মালামাল লুট, আহত ৩

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের শাহজালাল গ্রামে ককটেল বিস্ফোরণ, ঘর ভাঙচুর, মালামাল লুটসহ তিনজন আহতের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে উপজোর চরবোরহান ইউনিয়নের শাহজালাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজোলার চরবোরহান ইউনিয়নের শাহজালাল গ্রামে জমি ক্রয় করে তরমুজ চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করেন গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বাবুল মুন্সি। ওই জমি নিয়ে চরবোরহান ইউনিয়নের ইউনুস মুন্সিসহ চাষিদের সঙ্গে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল।

গত শনিবার দুপুরে ইউনুস খলিফাসহ ৪০-৫০ ওই জমি দখল করতে গিয়ে তরমুজ চাষিদের ঘর ভাঙচুর, ৭০ হাজার তরমুজ চারা নষ্ট করে, আনুমানিক মূল্য ১৫ লাখ টাকা, মালামাল লুট করে এবং ২-৩টি ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন এবং তিনজন তরমুজ চাষিদের পিটিয়ে গুরতর আহত করে।

আহতরা দশমিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ওই রাতেই কাললু মেম্বার বাদী হয়ে ইউনুস খলিফকে প্রধান আসামি করে ১৪ জন এবং অজ্ঞাত নামা ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে দশমিনা থানায় এজাহার দাখিল করেন।

আরও পড়ুন

সিরাজদীখানে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার লুট

তরমুজ চাষি সামসুউদ্দিন জানান, শনিবার দুপুরে আমরা খবার খেতে বসি। এসময় ইউনুস খলিফাসহ ৪০-৫০ জন বাসার সামনে এসে ভাঙচুর করে। আমি বাধা দিলে আমাকেসহ দুজনকে পিটিয়ে আহত করে। ঘরের মালামাল লুট করে, তরমুজের প্রায় ৭০ হাজার চারা নষ্ট করে। ঘরের মধ্যে ২-৩টি ককটেল বিস্ফোরণ করে আমাদের জীবননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমি বিষয়টি চেয়ারময়ান বাবুল মুন্সিকে জানাই।

তরমুজ খেতের মালিক বাবুল মুন্সি জানান, আমি তরমুজ চাষ করার জন্য ৯০ একর জমি কিনি ওই এলাকার লোকজন আমাকে জমি বুজাইয়া দেয়। আমি জমির চারদিকে ভেড়ি, আংশিক জমি চাষাবাদ কারাই তখন কোনো লোক আসেনি। এখন ইউনুস খলিফা নামের একজন জমি পাবে বলে কয়েকদিন ধরে আমাকে বিরক্ত করে আসছে। তার জমি চরবোরহানের চরছালাদ আর আমি জমি চাষাবাদ করছি একই ইউনিয়নের চর শাহজালাল। গত কাল শনিবার দুপুরে ইউনুস খলিফা ৪০-৫০ লোক নিয়ে এসে আমার ঘর ভাঙচুর, মালামাল লুট, ককটেল বিস্ফোরণসহ চাষিদের আহত করে আমি এর বিচার চাই।

মো. ইউনুস খলিফা জানান, উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের মৌজা চরশাহজাালা ও চর ছলামাদ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ আমরা প্রকৃত কার্ডহোল্ডার স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের সময় জমিতে দক্ষল নিতে পারিনি। জুলাই আগস্ট এর পর আমাদের জমিনিয়ে কিছু ভূমিদস্যু দখল করে আছে। আমাদের জমি চরের কিছু নেতারা চরবিশ্বাসের বাবুল মুন্সিকে বজিয়ে দেয়। ওখানে আমাদের জমি জমি আছে।

এ নিয়ে দশমিনা থানায় একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছি তাতে কোনো ফয়সালা হয়নি। ককটেল বিস্ফোরণ, ঘর ভাঙচুর, বীজ নষ্ট, মাধরের বিষয় মিথ্যা যার কোনো সত্যতা নেই।

দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদৎ মো. হাচনাই পারভেজ জানান, শনিবার রাতে অভিযোগ পেয়েছি। আজ রোববার দুপুরে ঘটনার বিষয় জানার জন্য উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মাসুম বিল্লাহকে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর