ময়মনসিংহে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে অপহরণের শিকার এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় এক অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া হাজিবাড়ি এলাকা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় জেলা পুলিশ।
আটক যুবকের নাম মো. মনির হোসেন (৪৫)। তিনি নগরের আকুয়া মাদরাসা কোয়ার্টার শিকদার বাড়ি মোড় এলাকার বাসিন্দা। এসময় তার চালিত প্রাইভেটকারটিও জব্দ করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, কিশোরগঞ্জের এক কিশোরী (১৬) উত্তরা এলাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সেখানে কাজের সুবাদে পরিচয় হয় ত্রিশাল উপজেলার বাসিন্দা উত্তরা আজমপুর এলাকার ফলবিক্রেতা ছামি আহম্মেদ ওয়াজ করনী (১৯) নামে এক তরুণের সঙ্গে। প্রেমের সম্পর্কের জেরে ছামি আহম্মদ ত্রিশাল উপজেলায় খালার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে আসছিল কিশোরীকে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ত্রিশাল আসার জন্য উত্তরা আজমপুর থেকে ময়মনসিংহগামী এক প্রাইভেটকারে ওঠে তারা। পরে ভালুকার উপজেলার ভরাডোবা বাজারের কাছে গাড়ি থামিয়ে এক দোকানে চা পান করে চালক ও ছামি আহম্মেদ। সেখানে চা দোকানে ছামি আহম্মেদকে রেখে প্রাইভেটকারের ভেতরে থাকা কিশোরীকে নিয়ে কৌশলে পালায় চালক মনির হোসেন। পরে কিশোরীকে ময়মনসিংহ নগরের আকুয়া হাজীবাড়ী এলাকায় আরিফ হোসেনের গ্যারেজের ভেতরে গাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেয়েটি কৌশলে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি জানায়। পরে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা তৎপরতা চালিয়ে রাত ৩টার দিকে অভিযান চালিয়ে গ্যারেজের ভেতর থাকা প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে কিশোরী মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিকেও আটক করা হয়। এর আগে, ২০১৯ সালেও এক যাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা ছিল মনিরের বিরুদ্ধে।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ মেয়েটি ফোন করলে আমরা তাকে উদ্ধার করি। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিনিধি/টিবি

