লক্ষ্মীপুরে মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে ছকিনা বেগম (৬৫) বৃদ্ধাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার দক্ষিণ মজুপুর এলাকায় ইয়াসিন মিঝি বাড়িতে ছকিনা বেগম হামলার শিকার হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার (ওসি-তদন্ত) ঝলক মহন্তর।
ছকিনা বেগম দক্ষিণ মজুপুর ইয়াসিন মিঝি বাড়ির মৃত সফিক উল্লাহর স্ত্রী।
সরেজমিন জানা গেছে, ছকিনা বেগম তার বড় ছেলে (প্রবাসী) আল-আমীনের স্ত্রী রুবিকে নিয়ে বসবাস করতেন। একই ভবনের অন্য পাশে বসবাস করতেন ছকিনার দেবরের মেয়ে আছমা আক্তার। এছাড়া ১ তলা বিশিষ্ট এ ভবনে আর কেউ বসবাস করতেন না। গতরাতে দুর্বৃত্তরা ভবনের সিঁড়ি রুমের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। দুর্বৃত্তরা কক্ষে ঢুকে বৃদ্ধার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। শব্দ শুনে বৃদ্ধার পুত্রবধূ রুবি ও দেবরের মেয়ে তাদের রুম থেকে চোর-ডাকাত বলে চিৎকার দেয়। এবং নিকটতম আত্মীয়স্বজনের মুঠোফোনে বিষয়টি জানান। আশপাশ থেকে লোকজন আসার আগেই দুর্বৃত্তরা ভবনের পেছনের দরজা খুলে চলে যায়। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল নেওয়ার পথে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে রাতেই শহর পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) মো. জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সকালে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তদের ফেলে যাওয়া একটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন
নিহত বৃদ্ধার দেবরের মেয়ে আছমা আক্তার জানান, জেঠী তার রুমে একাই ঘুমান। তার পাশের রুমে ওনার বড় ছেলের স্ত্রী রুবি থাকেন। গভীররাতে জেঠী তার রুম থেকে কে-কে বললে চিক্কার দিয়ে উঠছেন। তখন আমার ঘুম ভেঙে যায়। আমি তাৎক্ষণিক জেঠীর মোবাইলে কল দিই, তিনি কল রিসিভ করেননি। এরপর রুবি ভাবি আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, মার রুমে কেউ ঢুকছে।
ওসি (তদন্ত) ঝলক মহন্ত জানান, বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে। তাই চুরি, ডাকাতি না অন্যকিছু বলা যাচ্ছে না। লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিনিধি/টিবি

