রাজশাহীর তানোরে গর্তে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে উদ্ধারকারী দল বালতি নিয়ে গর্তের গভীরে নামে। এরপর ৯টা ২ মিনিটে তাকে মাটির নিচে ৪৫ ফুট গভীর গর্ত থেকে উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা ঢাকা মেইলকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শিশুটিকে উদ্ধারের পরই চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়েছে। পরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাব।’

স্থানীয় লোকজন জানান, রাজশাহীর তানোর উপজেলার পচন্দর ইউনিয়নের এই গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। এ এলাকায় এখন গভীর নলকূপ বসানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। এ অবস্থার মধ্যে কোয়েলহাট গ্রামের কছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তার জমিতে পানির স্তর পাওয়া যায় কি না, সেটা যাচাই করার জন্য গর্তটি খনন করেছিলেন। সেই গর্ত ভরাটও করেছিলেন, কিন্তু বর্ষায় মাটি বসে গিয়ে নতুন করে গর্ত সৃষ্টি হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে সেই গর্তেই শিশুটি পড়ে যায় তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের মো. রাকিবের ছেলে সাজিদ।

বিজ্ঞাপন
শিশুটিকে উদ্ধারে গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এক্সকাভেটর দিয়ে খনন শুরু হয়। ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। রাত ১০টার দিকে ছোট এক্সকাভেটর দিয়ে আর খনন করা সম্ভব হয়নি। রাজশাহী সিটি করপোরেশন থেকে পাঠানো বড় এক্সকাভেটর দিয়ে খনন শুরু করা হয়েছিল। অবশেষে ৩২ ঘণ্টা পর শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন—
শিশুটিকে উদ্ধারের পরই মানুষ আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিতে থাকেন। অনেকে আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
প্রতিনিধি/এজে/এমআর

