পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় বিরোধীয় সম্পত্তি দখলের চেষ্টায় কিশোর গ্যাংয়ের তাণ্ডব ও হামলায় আলতাফ হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বড়গোপালদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের মো. আলতাফ হোসেন প্রায় ৩০ বছর ধরে কবলা দলিলমূলে কেনা জমিতে বসবাস করছেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি স্থানীয় মো. হিরণ নিজের দাবি করে বিভিন্ন সময়ে মামলা, হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব মামলায় আলতাফ হোসেন অধিকাংশই অব্যাহতি পান।
শনিবার সকালে আলতাফ হোসেন ঘরের বিদ্যুতের মিটার ঠিক করার জন্য লোক আনলে, বিষয়টি জানতে পেরে হিরণ ও তার ছেলে রাজনের নেতৃত্বে ১০–১২ জন কিশোর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আলতাফের ঘরে হামলা চালায়। তারা মারধর, ভাঙচুর, নগদ টাকা লুটসহ ঘরের মালামাল বাইরে ফেলে দেয়। তাণ্ডবের শব্দে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা দ্রুত মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী আলতাফ হোসেন জানান, বিদ্যুতের কাজ করানোর সময় রাজনসহ ১০-১২ জন কিশোর আমার ঘরে ঢুকে আমাকে মারধর শুরু করে। কয়েকজন আমাকে মাটিতে ফেলে ধরে রাখে। ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে, আমার ব্যবসার ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং ঘরের টিনের বেড়া কুপিয়ে ফেলে দেয়। রাজন আমাকে হুমকি দিয়ে বলে—‘আবার কাজ করলে তোকে এখানে পুঁতে রাখব।’ পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিই। ঘটনাটি থানায় জানিয়েছি।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শী মামুন মৃধা বলেন, আমি কাজ করতে গেলে হঠাৎ ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র (বগি ও রামদা) নিয়ে এসে আমাকে কাজ না করতে বলে। এরপর তারা আলতাফকে মারধর ও ঘর ভাঙচুর করে। লোকজন আসতে দেখে তারা মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়।
![]()
আলতাফের বোন রেনু বিবি জানান, আমার ভাই দীর্ঘদিন ধরে এই জমিতে বসবাস করে। হিরণ জোর করে জমি দখলের চেষ্টা করছে। মামলা করেও কিছু পায়নি। আজ তার ছেলে কিশোরদের নিয়ে হামলা করেছে। এলাকার লোকজন না এলে আমার ভাইকে মেরে ফেলত।
অভিযুক্ত মো. হিরণ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই জমি আমারও কবলা মতে মালিক আমি। মামলা চলমান। আমি বা আমার ছেলে কাউকে নিয়ে হামলা বা ভাঙচুর করিনি। আলতাফের ঘর থেকে কয়েকজন বেরিয়ে যেতে দেখেছি, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানি না।
দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আবদুল আলীম বলেন, একজন মোবাইলে বিষয়টি জানিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

