রোববার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ঝিকরগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

জেলা প্রতিনিধি, যশোর
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম

শেয়ার করুন:

ঝিকরগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

যশোরের ঝিকরগাছা শিক্ষার অগ্রযাত্রায় অন্যতম মাইলফলক সরকারি এম এল মডেল হাই স্কুল। দীর্ঘ ইতিহাস, ঐতিহ্য আর ধারাবাহিক সাফল্যে স্কুলটি উপজেলার শিক্ষাঙ্গণের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ১৮৮৮ সালে দিকে শিক্ষার সুযোগ সীমিত ছিল। ঠিক তখনই জেলা-উপজেলার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা ও স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় ঝিকরগাছা সরকারি এম এল মডেল হাই স্কুল। শুরুটা ছিল অল্প ক’জন শিক্ষার্থী নিয়ে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে স্কুলটিতে উন্নত অবকাঠামো, আধুনিক পাঠক্রম ও দক্ষ শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করেছে।

বর্তমানে স্কুলটিতে দুটি ভবন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ১৯৬২ সালে প্রথম ভবন নির্মাণ করা শুরু হয়; যা পরে তিন তালা ভবনে রূপ নেয়। এরপর ২০১৬ সালে সরকারিভাবে আরও একটি তিনতলা ভবন করা হয়। কিন্তু স্থানীয়দের সহযোগিতায় নির্মিত ১৯৬২ সালে তিন তালা ভবনের অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। উঠে গেছে দেওয়ালের রং, খসে পড়ছে পলেস্তারা। ফাটল দেখা দিয়েছে দেওয়াল, ছাদ, পিলার ও বিমে। কিন্তু কোনো উপায় না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ঝিকরগাছা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি এ স্কুলে ৭০০ শিক্ষার্থীর পাঠদান করতে হয় ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনে। দেয়ালের প্লাস্টার ও ছাদের অংশ পড়ে শিক্ষার্থীরা একাধিকবার আহত হয়েছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকির নিয়ে ক্লাসে যেতে হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


thumbnail_1

দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আমরা প্রতিদিন ভয়ে থাকি, কখন যে ভবনের দেওয়াল ও পলেস্তারা খসে পড়ে বাচ্চাদের গায়ে লাগে। তবুও পড়াশোনা বন্ধ রাখতে পারি না। সরকার যদি দ্রুত সংস্কার বা নতুন ভবনের ব্যবস্থা না করে তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

আরও পড়ুন

ঝুলে গেছে মুক্তেশ্বরী নদী উচ্ছেদ প্রক্রিয়া, ক্ষুব্ধ হরিণা বিলপাড়বাসী

আরেক অভিভাবক আলী আজগার বলেন, বাচ্চাদের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে পাঠাতে আমাদের ভয় হয়। সরকারের কাছে জোর দাবি, দ্রুত এই বিদ্যালয়ে ভবনটি অপসারণ করে নতুন একটি নতুন ভবন বরাদ্দ দেওয়া হোক।


বিজ্ঞাপন


thumbnail_4

সহকারী শিক্ষক দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, আমাদের এই স্কুলের পুরাতন বিল্ডিংয়ের বয়স ৬২ বছর। পুরাতন এ ভবনে অবস্থা খুব করুণ। এখানে অনেক ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাতে হয়। দেয়ালের প্লাস্টার ও ছাদের অংশ পড়ে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক একাধিকবার আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুরাতন এ ভবনটি অপসারণ করা গেলে ভালো হয়।

thumbnail_2

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান আজাদ বলেন, প্রতিদিন ভগ্নপ্রায় ভবনে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করে। শিক্ষার্থীরা যখন ক্লাস করে, তখনও আমরা আতঙ্কে থাকি। তবুও আমরা চেষ্টা করছি সর্বোচ্চ দায়িত্বে নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। অনতিবিলম্বে ভবনটি অপসারণ করে একটি নতুন ভবন অত্যন্ত জরুরি।

ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনী খাতুন বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাছে আমি বিদ্যালয়ে ভগ্নদশা সম্পর্ক জানাব। শিক্ষার্থীদের সুন্দর পরিচ্ছন্ন পরিবেশের পাঠদানের সব ব্যবস্থা আমি করব।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর