মাদারীপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীকে মারধর করার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে দুই ঘণ্টা পর সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয় তারা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে মাদারীপুর-শরিয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কে যান চলাচল। ভোগান্তিতে পড়েন ওই পথে চলাচলকারীরা।
বিজ্ঞাপন
গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে কয়েকজন বখাটে মাদারীপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতর প্রবেশ করে মাদক সেবন করে। এরই প্রতিবাদ করেন রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইকবাল আমিন ওরফে সম্রাটসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ সময় মাদকসেবীদের সঙ্গে কলেজের শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এই ঘটনার জেরে বুধবার বিকেলে কলেজ মাঠে সম্রাটকে একা পেয়ে মারধর করে বখাটেরা। গুরুতর আহত অবস্থায় শিক্ষার্থীকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন তার সহপাঠীরা।
সম্রাট আহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে হামলাকারীদের গ্রেফতার, কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ, সীমানা নির্ধারণ করে পকেট গেট বন্ধসহ তিন দফা দাবিতে বুধবার রাতেই মাদারীপুর-শরিয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের দুপাশে অবরোধ করে স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
একপর্যায়ে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। দ্বিতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় ফের আন্দোলন। মাদারীপুর সরকারি কলেজ গেটের সামনে আবারো অবরোধ করা হয় সড়ক। সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয় আন্দোলনে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপরাধীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যদি দাবি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে আবারো শুরু হবে আন্দোলন। কলেজ ক্যাম্পাসে কোনো মাদক সেবন চলবে না। বহিরাগতদের প্রবেশ স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে, যাতে শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ সঠিকভাবে বজায় থাকে।
মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. লুৎফর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। তাদের এই দাবি মেনে নেওয়া হলে কলেজে বহিরাগতদের আড্ডা কমে যাবে। প্রশাসন থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তাই অবরোধ তুলে নিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন বলেন, ‘কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। এছাড়া কলেজের ভেতর পুলিশী নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
ক.ম/

