ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেছেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই ভালো রাখতে হবে, এট এনি কস্ট। এ ব্যাপারে আমরা কোনো ছাড় দেব না।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ডিসি শারমিন আক্তার জাহান বলেন, এখন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাচন ও আইনশৃঙ্খলা। এ দুটি বিষয়কে আমরা গুরুত্ব দেব। জেলায় তিন সীমান্ত উপজেলা আছে। আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলব। কীভাবে কি করা যায় এসব নিয়ে আলোচনা করব।
তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে নতুন করে অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু না করার জন্য চিঠি দিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাস্তাঘাটেরতো বেহাল দশা। কেন এই বেহাল দশা তা প্রকৌশলীদের সঙ্গে বসে খবর নেব। যাতে করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা যায়। তিনি বলেন, পলিথিনি ও ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের উপর সাঁড়াশি অভিযান করা হবে। এই বর্জ্যগুলো পঁচে না, তাই যত্রতত্র ময়লা ফেলে পৌরসভার ড্রেনে আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। জেলায় দখল হওয়া খালগুলো উদ্ধারে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সেচ বিভাগের সাথে কথা বলে খালগুলো উদ্ধারে কাজ করব। তিনি বলেন, কিছু খাল প্রভাবশালীরা দখল করে রেখেছে। এ ব্যাপারেও সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, জেলাতে যে বালুমহাল লিজ দেওয়া হয়েছে। লিজের শর্ত অনুযায়ী যতটুকু সীমানা, সে সীমানা থেকেই বালু উত্তোলন করতে হবে। সীমানার বাইরে থেকে যারা বালু উত্তোলন করে, তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। শর্তের বাইরে গেলে ইজারা বাতিল করা হবে। জলাশয়গুলো যেন ভরাট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। ভরাট হওয়া জলাশয়গুলো উদ্ধারে কাজ করব, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে জেলাতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করা হবে। জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে সবার সঙ্গে মিলে কাজ করব, বলেন জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান।
প্রেসক্লাবের দফতর সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) তাহমিনা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রঞ্জন চন্দ্র দে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এহসান মুরাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত মো. ইসতিয়াক ভুঁইয়া।
বক্তব্য দেন সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু, খ.আ.ম. রশিদুল ইসলাম, মনজুরুল আলম, মো. ইব্রাহিম খান সাদাত, পিযূষ কান্তি আচার্য, দীপক চৌধুরী বাপ্পী, আল-আমীন শাহীন, সৈয়দ মো. আকরাম, নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটু, মজিবুর রহমান খাঁন, শিহাব উদ্দিন বিপু, মো. শাহজাদা, সেলিম পারভেজ, উজ্জ্বল চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, মো. শাহাদৎ হোসেন, শফিকুল ইসলাম, ফজলে রাব্বি প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান আরও বলেন, ২৫০ শয্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে সেবার মান বাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবা খাতে চিকিৎসক নিয়েও সমস্যা আছে। নতুন যোগদানের পর দুই বছর একইস্থানে থাকার বিষয়টিও অকার্যকর। যে কারণে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে চিকিৎসক পাওয়া যায় না।
মতবিনিময় সভায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি/এসএস

