দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন বলেছেন, বিগত সরকারের পতনের মূল কারণ ছিল দুর্নীতি। তাই জনগণকে সচেতন থাকতে হবে। যেন নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদেরই বেছে নেওয়া হয়।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে চুয়াডাঙ্গার ডিসি সাহিত্য মঞ্চে দুদকের গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, তার পরিবারের সদস্যরা এবং সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুর্নীতির মামলায় অনেক আসামি দেশীয় সীমান্তের বাইরে রয়েছেন। তারা কীভাবে সীমান্ত পার হয়েছে, তা সকলেরই জানা। এমনও হতে পারে তারা চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়েই পাড়ি দিয়েছে।
তিনি বলেন, অন্যান্য জেলার তুলনায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় অভিযোগের পরিমাণ ও তীব্রতা তুলনামূলকভাবে কম। কিছু জেলায় অভিযোগকারীরা দলবলসহ উপস্থিত থাকলেও, চুয়াডাঙ্গায় অধিকাংশ অভিযোগকারী অনুপস্থিত ছিলেন। যা ইতিবাচক প্রবণতার ইঙ্গিত বহন করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় স্বর্ণ চোরাচালান ও মাদক চোরাকারবারিদের কার্যক্রম কিছুটা বেশি। তবে স্থানীয় জনগণ সচেতন থাকলে এসব প্রতিহত করা সম্ভব।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণ ও কর্মকাণ্ডের ওপর নজর থাকবে কমিশনের। কোনো প্রকার দুর্নীতি, অবৈধ অর্থ লেনদেন বা নমিনেশন বাণিজ্য যেন না ঘটে, সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: পাবনায় ৭ প্রতিষ্ঠানকে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা
গণশুনানিতে চুয়াডাঙ্গার ২৬টি দফতরের বিরুদ্ধে ৯৫টি অভিযোগ শুনানি হয়। এর মধ্যে ৩৩টি অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি হয়, ৭টি খারিজ করা হয় এবং বাকি অভিযোগের সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক জালাল আহমেদ এবং চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) জামাল আল নাসের।
প্রতিনিধি/ এজে

