লক্ষ্মীপুরে ডাকাত দলের হাতে নির্মমভাবে খুন হন জুলেখা বেগম (৫৫) ও তার ছোট মেয়ে তানহা আক্তার মীম (১৯)। ময়নাতদন্তের শেষে মা-বোনের লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন রাব্বি ও তার বড় বোনের স্বামী মামুন।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে মা-বোনের লাশ অ্যাম্বুলেন্সযোগে বাড়ি ফেরেন রাব্বি ও মামুন।
বিজ্ঞাপন
লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অরূপ পাল ঢাকা মেইলকে মা-মেয়ের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, দু’টি মরদেহ তারা সকাল ১০টার দিকে পেয়েছেন। কাগজপত্র পর্যালোচনা করতে একটু সময় লেগেছে। দু’জনের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতদের শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রের চিহ্ন রয়েছে।
![]()
রাব্বি ঢাকা মেইলকে জানান, মীমকে সেই দুষ্টুমি করে ডিম বলে ডাকতো। মীম ছিল পরিবারের সবার ছোট। তার সব বিষয় মীমের সঙ্গে শেয়ার করতো রাব্বি। মীমের প্রিয় খাবার ছিল ফুচকা। গতকাল রাত যখন তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরেন রাব্বি, তখন বোন মীমের জন্য পছন্দের খাবার ফুচকা নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে গিয়ে দেখেন মা-বোনের রক্তাক্ত মরদেহ কক্ষে পড়ে আছে।
বিজ্ঞাপন
রাব্বির বাবা ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান সাবেক সেনাসদস্য। বর্তমানে রাব্বি ও তার বাবা স্থানীয় সোনাপুর (বাজারে) হাটে ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী করেন। তারা ৩ বোন এক ভাই। নিহত মীম সবার ছোট। সেই রামগঞ্জ মডেল কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বড় দুই বোন রুমি ও শিমুর বিয়ে হয়েছে। তারা স্বামীর বাড়িতে থাকেন। রাব্বি ও তার বাবা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। ঘটনার সময় বাড়িতে মা জুলেখা ও বোন মীম ছিলেন একাই ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৯টার মধ্যেই কোনো একসময় ডাকাত দল তাদের বাড়িতে হানা দেয়। লুট করে নেয় স্বর্ণালংকার। গলা কেটে হত্যা করা করে রাব্বির মা-বোনকে। বাড়িতে ফিরে মা-বোনের লাশ দেখকে প্রথম ফোন করে বিষয়টি রাব্বি তার বাবাকে জানান।
![]()
লক্ষ্মীপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. আক্তার হোসেন মুঠোফোনে ঢাকা মেইলকে জানান, হত্যার রহস্যে উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
প্রসঙ্গত: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টার মধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের (২ নম্বর ওয়ার্ড) উত্তর চন্ডিপুর গ্রামের খামার বাড়িতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের স্ত্রী জুলেখা বেগম ও মেয়ে মীম।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।
প্রতিনিধি/এসএস

