নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় টানা তিন দিন ধরে অন্ধকারে রয়েছে ৫ শতাধিক পরিবার। ঝড়ের আঘাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে দৈনন্দিন গৃহস্থালি কাজ সব কিছুই ব্যাহত হচ্ছে তাদের জীবনে।
গত রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে হঠাৎ হওয়া ঝড়ে উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচটি ওয়ার্ডের ১২টি পাড়া তছনছ হয়ে যায়। ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার ছিঁড়ে যায়। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্তও বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরেনি এসব পরিবারে।
বিজ্ঞাপন
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে মাঝাপাড়া, বানিয়াপাড়া, হাজীপাড়া, উত্তরপাড়া, পোদ্দারপাড়া, জিকরুল মেম্বারের পাড়া, বাবুপাড়া, চেয়ারম্যানের পাড়া, বৈরাগীপাড়া, মুন্সিপাড়া, ও কালিরথান পাড়া।
![]()
গাড়াগ্রাম টেপারহাট পল্লি বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের লাইন টেকনিশিয়ান লুৎফর রহমান জানান, ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও তারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকের মিটার পর্যন্ত উড়ে গেছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কয়েকটি টিম কাজ করছে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারে।
ডিসির মোড় মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা ফিরোজ বলেন, তিন দিন ধরে আমাদের এলাকা অন্ধকারে ডুবে আছে। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ। রাতের বেলা ছোট বাচ্চাদের ভয় লাগে। অন্যান্য পাড়ার অবস্থাও একই।
ইউপি সদস্য মোজাহেদ জানান, ঝড়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ব্যাপক তার ছিঁড়ে যাওয়ায় সংযোগ পুনঃস্থাপনে সময় লাগছে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম রোমান ইসলাম বলেন, রোববারের ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি, তার ও মিটার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের কর্মীরা দিনরাত কাজ করছে। ইতোমধ্যে কিছু এলাকায় সংযোগ ফিরেছে। আশা করছি, আজকে রাতের মধ্যে সব গ্রাহক বিদ্যুৎ পাবে বলে তিনি জানান।
প্রতিনিধি/এসএস

