নেত্রকোনার মদন থেকে অস্ত্র, মাদক ও ডাকাতিসহ ৯ মামলার আসামি বিএনপি নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদে মদন পৌর শহরের জাহাঙ্গিরপুর সেন্টার চৌরাস্তা মোড়ে মদন–চট্টগ্রাম সড়কের একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে যৌথ বাহিনী তাকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, ২০১৩ সালে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা হয়। সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
তাকে কারাগারে পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. মফিজ উদ্দিন শেখ।
বিজ্ঞাপন
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ জানান, ২০১৩ সালে গাইবান্ধা জেলার একটি ডাকাতি মামলায় আরিফ আসামি ছিলেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর বুধবার সন্ধ্যায় বাস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরিফ উপজেলার মদন ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণপাড়া গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে। তিনি মদন ইউনিয়ন বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে ডাকাতি ও মাদক কারবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বুধবার রাতেই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কার পত্রে স্বাক্ষর করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সুলতান আকন্দ ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর ইকবাল (সুমন)।
মদন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. নুরুল আলম তালুকদার বলেন, আরিফের বিষয়ে আমাদের কাছে ভুল তথ্য ছিল, ফলে তাকে কমিটিতে রাখা হয়েছি। অন্যথায় তিনি কমিটিতে থাকতে পারতেন না। অভিযোগ পাওয়ার পরই তাকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছি। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন বিএনপি তাকে বহিষ্কার করেছে
উল্লেখ্য, আরিফের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা চলমান রয়েছে। এর মধ্যে নেত্রকোনার মদন থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি ও অস্ত্র আইনে একটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও , গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি ডাকাতি মামলা, চট্টগ্রামের লোহাগড়া থানায় একটি মাদক মামলা, মাদারীপুর সদর থানায় একটি মারামারি মামলা, চট্টগ্রাম বোয়ালখালী সড়ক পরিবহনের একটি মামলা ও নেত্রকোনা সদর থানায় একটি চুরি মামলা, একটি মাদক মামলা রয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস

