রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুটি সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম

শেয়ার করুন:

Bramhanbaria
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুটি সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৩০০ নির্বাচনি এলাকার সীমানা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে গেজেট প্রকাশ হতে পারে। 

ইসি সূত্র জানায়, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে যুক্ত করা হয়েছে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ও চান্দুরা ইউনিয়নকে।


বিজ্ঞাপন


এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা এবং বিজয়নগর উপজেলার ইউনিয়ন ইছাপুর, চম্পকনগর, পত্তন, দক্ষিণ সিংগারবিল, বিষ্ণুপুর, চর ইসলামপুর, পাহাড়পুর ও হরষপুর ইউনিয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।  

২০২৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ছিল সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা। প্রস্তাবিত সীমানায় এ দুই উপজেলার সঙ্গে বিজয়নগর উপজেলার বুধস্তি, চান্দুয়া ও হরষপুর ইউনিয়নকে যুক্ত করা হয়েছে। আর ২০২৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ছিল সদর ও বিজয়নগর উপজেলা। এবার করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এবং বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুর, চম্পানগর, পত্তন, দক্ষিণ সিংগারবিল, বিষ্ণুপুর, চর ইসলামপুর ও পাহাড়পুর ইউনিয়ন। এ দুই আসনের খসড়া সীমানা প্রকাশের পর পক্ষে-বিপক্ষে আবেদন জমা পড়েছিল। 

গত ২৪ আগস্ট রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে বিভিন্ন আসনের খসড়া সীমানা নিয়ে শুনানির প্রথম দিনে হাতাহাতিতে জড়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই পক্ষ। এ সময় হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ তোলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।  


বিজ্ঞাপন


শুনানিতে অংশ নিয়ে ইসির প্রকাশিত খসড়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন রুমিন ফারহানা। এরপর খসড়ার বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোহাম্মদ আতাউল্লাহ। তিনি জানান, বিজয়নগর উপজেলা থেকে তিনটি ইউনিয়ন (বুধস্তি, চান্দুয়া ও হরষপুর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। তারা উপজেলাকে অখণ্ড দেখতে চান।

যুক্তিতর্কের একপর্যায়ে দুই পক্ষ উত্তেজিত হয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। আতাউল্লাহর সঙ্গে স্থানীয় বিএনপিরও কয়েকজন ছিলেন। হট্টগোলের একপর্যায়ে ইসি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ইসি সচিব আখতার আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানি শেষ করেন এবং তাদের শুনানি কক্ষ ত্যাগ করার অনুরোধ জানান।  

পরে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে পেশাদারির সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছেন বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমরা পেশাদারির সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আইন অনুযায়ী খসড়া সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তির সুযোগ দেয়া হয়েছে। আপনাদের আবেদনগুলো আমরা বিবেচনায় নিয়েছি।’ 

এমএইচএইচ/ক.ম 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর