রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মাছ শিকার করতে গিয়ে দু’পক্ষের হামলা, জেলে নিহত

জেলা প্রতিনিধি,  লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৬ এএম

শেয়ার করুন:

মহাসড়কের পাশ থেকে প্লাস্টিকে মোড়ানো নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে জাল ফেলা নিয়ে দুই নৌকার জেলেদের মধ্যে হামলার জেরে ইব্রাহিম মাঝি (৪০) নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ২০ মিনিটে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. কবির হোসেন ঢাকা মেইলকে এ তথ্য জানিয়েছেন। 


বিজ্ঞাপন


ইব্রাহিম লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলেকজান্ডার ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বালুরচর এলাকার মোহতাসিন মাঝির ছেলে।

ক্ষতিগ্রস্ত আল-আমিন মাঝি জানান, রোববার দুপুর ১২টার দিকে হাতিয়া এলাকার মেঘনা নদীতে তারা জাল ফেলেন। এসময় অন্য এক নৌকার মাঝিরাও তাদের পাশাপাশি জাল ফেলেন। এসময় দুই নৌকার জাল এলোমেলো হয়ে যায়। বিকেলে তিনি ওই নৌকার কাছে গিয়ে জাল সরিয়ে নিতে বলেন। এতে নৌকার মাঝি তাকে গালমন্দ করেন। একটু পর দুই পক্ষই উত্তেজিত হয়ে গালমন্দ শুরু করে। পরে তিনি ওই নৌকার কাছ থেকে চলে আসেন। এশার আজানের আগমুহূর্তে হঠাৎ করে ওই নৌকার মাঝি লোকজন নিয়ে আসেন এবং তাদের নৌকায় হামলা চালিয়ে মারধর করেন। এসময় ইব্রাহিম নৌকার চকির নিচে লুকিয়ে ‍ছিলেন। এ সময় হামলাকারীদের নৌকার লগির আঘাতে তার পেটের বাম পাশে জখম হয়। একপর্যায়ে নৌকাটি ডুবে গেলে তিনিও ডুবে মারা যায়। এরমধ্যে সবাই কোনোভাবে বেঁচে ফেরেন।

নিহতের খালাতো ভাই আবুল বাশার বলেন, আমার খালাতো ভাইয়ের মরদেহ ভোলার দৌলতখান নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তার মরদেহ নিয়ে এসেছি। সেখানকার থানার ওসিকে বিষয়টি জানালে তিনি নৌ-পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে বলেন। পরে মোবাইল ফোনে হাতিয়ার নৌ-পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা মরদেহ সেখানে নিয়ে যেতে বলেছে। আমরা সেখানে মরদেহ নিইনি। আমরা মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছি।

আরও পড়ুন: কু‌ড়িগ্রামে ৪ মা‌সের শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু, থানায় হত্যা মামলা


বিজ্ঞাপন


রামগতি থানার ওসি মো. কবির হোসেন জানান, বিকেলে নিহত ইব্রাহিমের স্বজনরা থানা সাধারণ ডায়েরি করতে এসেছে। তারা নিজ দায়িত্বে লাশ এনে দাফন করেছে। নদীর ঘটনা বিষয়টি নৌ-পুলিশ তত্ত্বাবধান করবে। তাই সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

হাতিয়ার উপজেলার নলছিড়া নৌ-পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আশীষ চন্দ্র সাহা বলেন, আমাকে দৌলতখান থানার ওসি মোবাইলফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। মামলা করতে হলে হাতিয়া থানায় করতে হবে। এজন্য নিহতের স্বজনদেরকে মরদেহ নিয়ে আসার জন্য বলেছি। কিন্তু তারা আসেননি। তারা আমাকে বিস্তারিত কোনো তথ্যও দেননি।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর