শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ১ নম্বর পোড়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বন্দনা চাম্বুগংকে একটি প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে তিনি ওই দিন বিকেলেই জামিনে মুক্ত হন।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার বারোমারী বটতলা মিশন এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতারের পর দুপুরে তাকে শেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
পরে আদালতে পৌঁছানোর পর জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গ্রেফতার
পুলিশ জানায়, একই এলাকার জীবিতা মারাক নামে তারই এক নারী আত্মীয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বন্দনা চাম্বুগং। এ অভিযোগে বন্দনার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সকালে থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন জীবিতা মারাক। মামলা দায়েরের পর বেলা ১২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে বন্দনা চাম্বুগংকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
এদিকে দুপুরে আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত আওয়ামী লীগ নেত্রী বন্দনা চাম্বুগং-এর জামিন মঞ্জুর করেন। পরে তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলেই জামিনে মুক্ত হন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নেতা হাবিব গ্রেফতার
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেরপুরের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও রেড জুলাইয়ের সদস্য সচিব সোহানুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর ছিলেন বন্দনা চাম্বুগং। তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে ২৪ জুলাইয়ের সময় রাজপথে ছিলেন। সেই চাম্বুগংকে আদালত এত তড়িঘড়ি করে জামিন দিয়ে দিলো, এটা অবাক করার মতো ঘটনা। অথচ, এই আদালতের বিচারকরাই বিগত ১৫ বছর অন্যায়ভাবে গায়েবি মামলায় ছাত্র-জনতাকে বছরের পর বছর কারাভোগ করাতো। বিচারের নামে চলতো আ. লীগের প্রেসক্রিপশনে অবিচার। বন্দনার এ জামিন আমাদেরকে ভাবাচ্ছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ

