যশোরের অভয়নগরে দেশের স্বনামধন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া গ্রুপের অফিস ও বাসভবনে ককটেল ও পেট্রোল বোমা হামলারকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে অর্ধদিবস ধর্মঘট ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নওয়াপাড়া নৌবন্দর কেন্দ্রিক ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা যশোর-খুলনা মহাসড়কে এই কর্মসূচি পালন করেন। সমাবেশ থেকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে নওয়াপাড়া নৌবন্দরকে অচল করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
নওয়াপাড়া সার-সিমেন্ট-খাদ্যশস্য ও কয়লা ব্যবসায়ী সমিতি, মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন, হ্যান্ডলিং শ্রমিক ও ট্রাক ট্রান্সপোর্ট শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে নওয়াপাড়া রেলস্টেশন বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
![]()
নওয়াপাড়া সার-সিমেন্ট-খাদ্যশস্য ও কয়লা ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল আওয়াল খানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন, অভয়নগর থানা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম হায়দার ডাবলু, নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নঈম মোড়ল, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মোল্যা, জেলা বিএনপির সাবেক নেতা মশিয়ার রহমান, সার-সিমেন্ট ও কয়লা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ জালাল হোসেন, থানা শ্রমিক দলের সভাপতি রবিউল হোসেন, ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি কাজী গোলাম ফারুক, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম মুজিবর রহমান, বিএনপি নেতা সরোয়ার মোস্তাফিজ মিলন, কামাল হোসেন, আতাউর রহমান, নোয়াপাড়া গ্রুপের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, শ্রমিক নেতা মাসুদ রানা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, ব্যবসায়ী নেতা শেখ আসাদুল্লাহ ও নূর আলম পাটোয়ারি।
বক্তারা বলেন, তিন যুগের বেশি সময় ধরে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া গ্রুপ দেশব্যাপী সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছে। তারা দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ ননইউরিয়া সার আমদানি করে থাকে। গত ১৮ জুলাই ভোর রাতে চারজন দুর্বৃত্ত নওয়াপাড়া রেলস্টেশন বাজার এলাকায় নোয়াপাড়া গ্রুপের অফিস ও বাসভবনে ককটেল ও পেট্রোল বোমা হামলা চালায়। পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে তারা নওয়াপাড়ার ব্যবসায়ীদের মাঝে ভীতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
বক্তারা আরও বলেন, ওই দিনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ভোর রাতে ৪ যুবক নোয়াপাড়া গ্রুপের অফিস ও বাসভবন লক্ষ্য করে একটি ককটেল ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছে। ৯ দিন অতিবাহিত হলেও একজন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ। তাই ব্যবসা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে নওয়াপাড়া নৌবন্দর কেন্দ্রিক সব ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা আজ রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন। আগামী তিন দিনের (৭২ ঘণ্টা) মধ্যে হামলাকারী চারজনকে গ্রেফতার করা না হলে নওয়াপাড়া নৌবন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করাসহ রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে নওয়াপাড়া নৌবন্দর অচল করে দেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

