রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) রিসার্চ গ্র্যান্ট পেয়েছেন ৭ জন গবেষক।
সোমবার (২১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় তাদের হাতে রামেবি উপাচার্য প্রফেসর ডা. মোহা. জাওয়াদুল হক চেক তুলে দেন। এ সময় তিনি বলেন, রামেবি জনকল্যাণে শিক্ষা, গবেষণা ও চিকিৎসায় অনেকদূর এগিয়ে যাবে।
বিজ্ঞাপন

রামেবির কনফারেন্স রুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে রামেবি উপাচার্য প্রফেসর ডা. মোহা. জাওয়াদুল হক প্রধান অতিথি ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন রামেবির কলেজ পরিদর্শক ও রিসার্চ সেলের সদস্য সচিব প্রফেসর ডা. মো. আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন রামেবির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. জাকির হোসেন খন্দকার, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. খন্দকার ফয়সাল আলম ও মেডিসির বিভাগের অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক আজাদ।

এসময় ৭ গবেষককে চেক প্রদান করা হয়। তারা হলেন- রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জহিরুল হক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ইফতেখার হোসাইন, বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের বিভাগের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেলা পারভীন, রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন ও পাবলিক হেলথ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফারজানা চৌধুরী, সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন ও পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক ডা. সালেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, রাজশাহীর বারিন্দ মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শবনজ আক্তার ও সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. কাজী মঞ্জুরুল হক।
বিজ্ঞাপন

পুরস্কার পেয়ে তারা বলেন, সমাজের চ্যালেঞ্জে হেল্প করে রিসার্চ। রিসার্চে ফিল্ডে অবদান রাখবে। উত্তরবঙ্গে গবেষণায় রামেবি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। এটা তরুণ গবেষকদের জন্য বিশাল অনুপ্রেরণা, ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন হলো। রামেবির এমন উদ্যোগ দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রাজশাহীতে এটাই প্রথম রিসার্চ গ্র্যান্ট। গবেষকরা বলেন, রামেবি প্রতিষ্ঠার দিন থেকে আমাদের যে স্বপ্ন ছিল, সেটা আজ পূরণ হলো। রিসার্চ কাজে উৎসাহ দেওয়া হলো, আমরা আরও বেশি উৎসাহিত হব। সামনে আরও অংশগ্রহণ করতে পারি, সেটা আশা করছি।

এসময় রামেবি উপাচার্য প্রফেসর ডা. মোহা. জাওয়াদুল হক বলেন, আপনারা কালের সাক্ষী হয়ে রইলেন। আপনাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটা মূল স্তম্ভ, প্রধান কাজ তিনটি। জ্ঞান সৃষ্টি করে কাজে লাগানো, গবেষণা করা ও চিকিৎসা সেবা। আমরা গবেষণার কাজ আমাদের টাকা দিয়ে শুরু করেছি, পজেটিভ অ্যাটিচিউডের বহিঃপ্রকাশ এটা। এগুলো জনকল্যাণে ব্যবহার করতে পারব। শিক্ষা, গবেষণা ও চিকিৎসায় অনেকদূর এগিয়ে যাবে রামেবি। আমি আশাবাদী, সব কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সক্ষম হব এবং জনকল্যাণে কাজে লাগাতে পারব।

রামেবির কলেজ পরিদর্শক ও রিসার্চ সেলের সদস্য সচিব আব্দুস সালাম বলেন, নতুন কিছু করতে গেলে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে, সেটা ছিল। তবে আল্লাহর রহমত ছিল, আমরা পেরেছি। এই শুরু যেন আরও ডালপালা বিস্তৃত করে, সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন হলো, এর ধারাবাহিতা থাকবে। মাত্র ৯-১০ মাসে আমরা পজেটিভ চেঞ্জ আনতে পেরেছি। আমরা সামনে আগাতে চাই। আমরা স্বপ্ন দেখতে চাই।
প্রতিনিধি/এসএস

