বরগুনা শহরে ভেজালবিরোধী বিশেষ অভিযানে দুই ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড এবং একজনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শিশু খাদ্যে ক্ষতিকর রঙ মিশিয়ে আকর্ষণীয় ডিজাইন তৈরি করে বাজারজাত করার অভিযোগে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বরগুনা শহরের বিভিন্ন খাদ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বরগুনা জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হোসেন।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল আলমের নির্দেশনায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ অনুযায়ী এই আদালত পরিচালনা করেন বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরিয়ত উল্লাহ।
অভিযানে বাঁশবুনিয়া এলাকার মাহিন ফুডস-এর মালিক আব্দুল কুদ্দুস এবং মোল্লা ফুডস প্রোডাক্টস-এর স্বত্বাধিকারী মনজুর আলম মোল্লাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মালাকার সুইটস-এর মালিক সুব্রত মালাকরকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অভিযানের সময় লাকুরতলার অনিল স্টোরের মালিক অনিল চন্দ্র পালিয়ে গেলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এছাড়াও শহরের খাইরুল স্টোর থেকে শিশুদের জন্য বিপজ্জনক ও ভেজাল খাদ্য জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। নামবিহীন আরও কয়েকটি দোকান থেকেও একই ধরনের খাদ্যদ্রব্য জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয়।
বিজ্ঞাপন
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই অভিযানে সহায়তা করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বরগুনা কন্টিনজেন্টের সাব- লেফটেন্যান্ট সাকিলের নেতৃত্বে একটি দল, বরগুনা সদর থানা ও ডিবি পুলিশের সদস্যবৃন্দ এবং পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইব্রাহিম খলিল।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বরগুনা জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে আমাদের এই ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে।
প্রতিনিধি/টিবি

