২০২৪ সালের ৪ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে মুন্সিগঞ্জ শহরে নিহত তিন শহীদ মো. সজল, মো. ডিবজল ও মো. রিয়াজুল ফরাজীর স্মরণে মুন্সিগঞ্জ শহরের কৃষি ব্যাংকের সামনে স্থাপন করা হলো ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’এর ভিত্তিপ্রস্তর।
শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ পরিবারের সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
বিজ্ঞাপন
‘এক শহীদ, এক স্মৃতি’ ধারণাকে সামনে রেখে শহীদদের স্মরণে স্ট্যাম্পগুলোর মাধ্যমে শহীদদের আত্মত্যাগের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশে এ স্ট্যাম্প স্থাপন কর্মসূচি হাতে নেয় জেলা প্রশাসন।
![]()
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শরীফ উল্যাহ এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম।
এছাড়া এলজিইডি ও জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা, উত্তর ইসলামপুর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
![]()
জানা গেছে, জেলা পরিষদের অর্থায়নে এবং এলজিইডির কারিগরি সহায়তায় স্ট্যাম্পগুলো নির্মিত হচ্ছে। প্রতিটি স্ট্যাম্পে শহীদদের নাম, জন্ম-মৃত্যুর তারিখ এবং শহীদ হওয়ার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস লিপিবদ্ধ থাকবে। এর উচ্চতা হবে ৮ ফুট এবং প্রস্থ ২ ফুট।
এলজিইডির মুন্সিগঞ্জের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী রেজওয়ানুল রহমান জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এই স্ট্যাম্পগুলো শুধু একটি ভাস্কর্য নয়, এটি হবে আমাদের স্মৃতি ও শ্রদ্ধার চিহ্ন।
![]()
অন্যদিকে শহীদদের স্মরণে মেমোরিয়াল স্ট্যাম্পগুলো হৃদয়ের স্থায়ী স্মৃতি হবে বলে জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত।
তিনি বলেন, আমাদের এই অঞ্চলেই তিনজন শহীদ, সজল,রিয়াজুল ও ডিপজল। তারা গত বছর ৪ আগস্ট শহীদ হয়েছিলেন। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই জায়গাতেই তাদের স্মৃতিরক্ষার্থে রোড মেমোরিয়াল স্ট্যাম্প স্থাপন করা হবে এবং তারই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
![]()
আমরা আশা করি, বহুদিনের প্রত্যাশা অনুযায়ী এই অঞ্চলটি শহীদ চত্বর হিসেবে পরিচিত হবে এবং সেটিই এখন বাস্তবতা হয়ে উঠছে। এই তিনটি মেমোরিয়াল স্ট্যাম্প আমাদের হৃদয়ে তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে সাহায্য করবে। আমার বিশ্বাস, শহীদ পরিবারগুলোর মনে এতে অন্তত কিছুটা হলেও শান্তির জায়গা তৈরি হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

