সংবাদ সংগ্রহকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় অর্থনীতি বিভাগের একদল শিক্ষার্থী। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন জিয়া পরিষদ। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তারা।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে এ নিন্দা জানান তারা।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবাদ লিপিতে তারা বলেন, গত শনিবার অর্থনীতি বিভাগের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনায় গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। শিক্ষাঙ্গনে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া শুধু দুঃখজনকই নয়, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তবুদ্ধির চর্চা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই ঘটনাসহ বিভিন্ন মহলের নানাবিধ অপতৎপরতায় সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে।
তারা আরও বলেন, দুঃখজনকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সর্বক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণে অনীহা ও দীর্ঘসূত্রিতা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তই জিয়া পরিষদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাসহ সব অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে যথাযথ প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন খেলায় মারামারিতে জড়ায় বিভাগটির সিনিয়র ও জুনিয়ররা। এ সময় তাদের মারামারির ভিডিও করতে গেলে তিন ক্যাম্পাস সাংবাদিকের ওপর হামলা করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা ১৩ জুলাই প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরাও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী হামলা ও লাঞ্ছনার’ অভিযোগ এনে পাল্টা অভিযোগপত্র দেন। এর প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নাহিদ হাসান, আফসানা পারভিন টিনা, সাব্বির, মিনহাজ, সৌরভ দত্ত, রিয়াজ মোর্শেদ, সৌরভ সোহাগ ও পান্না। একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের অজিল, সাইফুল, রাকিব, মশিউর রহমান রিয়ন ও হৃদয়সহ ২০-২৫ জন।
প্রতিনিধি/এসএস

