সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ইবিতে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, ইবি
প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম

শেয়ার করুন:

ইবিতে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের বাধা প্রদান, মারধর ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে তদন্ত কমিটি করেছে প্রশাসন।

সোমবার (১৪ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।


বিজ্ঞাপন


কমিটিতে ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিটিতে লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, দাওয়া'হ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান ও ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. শরিফুল ইসলামকে সদস্য এবং সহকারী প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিল্লাতুল করিমকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে অর্থনীতি বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ প্রতিনিধিদের (শিক্ষার্থীদের) মধ্যে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রকৃত কারণ, তথ্য উৎঘাটন ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন বা সুপারিশ প্রদান করার জন্য বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

ইবিতে সাংবাদিক মারধর: ২২ ঘণ্টা পর ফোনের সন্ধান মিললেও তথ্য উধাও!

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেন, এখনও চিঠি হাতে পাইনি। ক্যাম্পাসে ফিরে বিষয়টা দেখব।


বিজ্ঞাপন


প্রসঙ্গত, ১২ জুলাই বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়৷ খেলা চলাকালে সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় ভিডিও ধারণ করতে গেলে তিনজন ক্যাম্পাস সাংবাদিক হামলার শিকার হন। পরে ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা ১৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতরে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অন্যদিকে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রক্টর বরাবর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে 'সন্ত্রাসী হামলা ও লাঞ্ছনার' অভিযোগ এনে পাল্টা অভিযোগপত্র জমা দেন।

এদিকে ঘটনার দৃশ্য ধারণকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সাংবাদিকের মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ২০ ঘণ্টা পর মুঠোফোনটি উদ্ধার হলে প্রক্টর অফিসে নিতে যান ভুক্তভোগী সাংবাদিক। তবে মুঠোফোনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ডকুমেন্টস মুছে ফেলে অভিযুক্তরা। ফলে মুঠোফোন ফেরত নেননি ভুক্তভোগী সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহ। এদিকে এই হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর