টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৫ স্থান ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
![]()
বিজ্ঞাপন
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্র জানিয়েছে, প্লাবিত এলাকার অনেক বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক মিটার ও সাব-স্টেশন ডুবে যাওয়ায় নিরাপত্তার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি উন্নতি হলে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হবে।
![]()
পরশুরামের চিথলিয়া এলাকার হালিমা আক্তার জানান, রাতে পানি ঘরে ঢুকতে শুরু করে। বিদ্যুৎ সংযোগ ও মোবাইল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে বাধ্য হয়েছি। গত বছরও বন্যায় সব হারিয়েছি, এবার আবারও একই পরিস্থিতি।
![]()
বিজ্ঞাপন
মির্জানগরের রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ফলে মোবাইল নেটওয়ার্কও সচল নেই। কোথাও যোগাযোগ করতে পারছি না।
![]()
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ নুরুল হোসাইন বলেন, বন্যা কবলিত ফুলগাজী ও পরশুরামের অনেকগুলো গ্রামে দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করা হবে।

প্রসঙ্গত, ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মঙ্গলবার রাতে মুহুরি ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ১৫টি স্থান ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারও মানুষ।
আরও পড়ুন
এর আগে বিগত ২০২৪ সালের আগস্টে ফেনীতে ভয়াবহ বন্যায় ২৯ জনের প্রাণহানিসহ হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে।
প্রতিনিধি/এসএস

