বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ঢাকা

বিসিসির সাবেক মেয়রসহ ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে দুদক

জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল
প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

বিসিসির সাবেক মেয়রসহ ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে দুদক

ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) সাবেক মেয়র এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতসহ ১৯ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসব কর্মকর্তার ব্যক্তিগত নথি এবং সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি চেয়ে ইতোমধ্যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


শুক্রবার (৪ জুলাই) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক) বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোজাহার আলী সরদার।

সাবেক মেয়র খোকন ছাড়া অন্যরা হলেন, বিসিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তা লকিতুল্লাহ, সাবেক সচিব মাছুমা আক্তার, উচ্ছেদ শাখার প্রধান স্বপন কুমার দাস, সার্ভেয়ার তাপস, নাছির, মশিউর, আর্কিটেক্ট সাইদুর, জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রোমেল, সম্পত্তি শাখার ফিরোজ ও মাহবুবুর রহমান শাকিল, প্ল্যান শাখার লোকমান ও কালটু, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মশিউর রহমান, বাজার সুপারিন্টেনডেন্ট নুরুল ইসলাম, ট্রেড লাইসেন্স সুপারিন্টেনডেন্ট আজিজুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী এইচএম কামাল ও সাইফুল ইসলাম মুরাদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির।

আরও পড়ুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনের জেল

দুদক বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল কাইয়ুম হাওলাদারের স্বাক্ষরিত চিঠিতে সবার নাম, পদবি, বিভাগ, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মোবাইল নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্যের কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। এসব নথিপত্রের পাশাপাশি টেন্ডারবাজি, বিভিন্ন নিয়োগ সংক্রান্ত রেকর্ড, সম্পত্তি ও অর্থ বরাদ্দ সংক্রান্ত তথ্য, দীঘির মালিকানা ও বালু ভরাট সংক্রান্ত নথি, ঈদ উপলক্ষে ব্যানার তৈরির জন্য বরাদ্দের ১৩ লাখ টাকার হিসাব চেয়েছে দুদক। এছাড়া খোকন সেরনিয়াবাতের ফেসবুক পেজ বুস্টিংয়ের বরাদ্দ করা ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার রেকর্ড, ল্যাপটপ, ড্রোন, ফার্নিচার, মনিটরসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার কেনাকাটার কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে।


বিজ্ঞাপন


দুদুকের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক মোজাহার আলী সরদার জানান, সাবেক সিটি মেয়র ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে। বর্তমানে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ চলছে, তাই বিস্তারিত মন্তব্য করা যাচ্ছে না।

বিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রোমেল বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে দুদকের একটি চিঠি পেয়েছি। দ্রুত প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেওয়া হবে। তবে অন্যদের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।

বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, তাদের নামে দুদক চিঠি দিয়েছে। দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক কিছু কাগজপত্রও চেয়েছে বিসিসির কাছে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর