বরগুনার আমতলী পৌরসভার বিভিন্ন ডোবা-নালা ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। জলাবদ্ধতা ও দুর্গন্ধের সঙ্গে যোগ হয়েছে মশার ভয়াবহ উপদ্রব। ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। পৌরবাসীদের অভিযোগ, মশা নিধন বা ডোবা-নালা পরিষ্কারে পৌর কর্তৃপক্ষের নেই কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৮ সালে গঠিত আমতলী পৌরসভার পর দীর্ঘ ২৭ বছরেও অনেক ডোবা-নালার সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। এতে করে পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে পচা পানি ও আবর্জনার স্তূপ জমে ভয়াবহ পরিবেশ দূষণের সৃষ্টি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
![]()
শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিস, এমইউ বালিকা বিদ্যালয়, সবুজবাগ, চাওড়া, খোন্তাকাটা, বকুলনেছা মহিলা কলেজ ও সরকারি কলেজ সংলগ্ন এলাকাজুড়ে ডোবা-নালাগুলোতে জমে থাকা পচা পানিতে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ।
পৌরবাসীদের জোর দাবি—পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখনই দ্রুত ও টেকসই পদক্ষেপ নিক পৌর কর্তৃপক্ষ।
সবুজবাগের বাসিন্দা গোপাল মাঝি জানান, ডোবার পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মশা-মাছির উপদ্রবে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
খোন্তাকাটার ইউসুফ আলী বলেন, মশার যন্ত্রণায় জীবন অতিষ্ঠ। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে।
![]()
আরেক স্থানীয় সিদ্দিক মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারি না। পৌরসভাকে বারবার বলেও কোনো লাভ হয়নি।
এ বিষয়ে আমতলী পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ বলেন, পরিত্যক্ত ডোবা-নালা দ্রুত পরিষ্কার করে মশা নিধনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান জানান, ফগার মেশিন দিয়ে ধোঁয়া দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

