নড়াইলের কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নে খাশিয়াল বাজার থেকে নড়াগাতী পর্যন্ত সাত কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল প্রায় আড়াই বছর আগে। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও আজও শেষ হয়নি সেই কাজ। সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির পর ফেলে রেখে গেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ফলে রাস্তার দুরবস্থায় সীমাহীন কষ্টে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
শনিবার (২৭ জুন) বেলা ১২টার দিকে এ দুর্ভোগের প্রতিবাদে এবং কাজ দ্রুত শেষের দাবিতে খাশিয়াল বাজারে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। খাশিয়াল ও পাশের জয়নগর ইউনিয়নের ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, খাশিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বি এম বরকত উল্লাহ, খাশিয়াল আদর্শ সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান, ইউনিয়নের সাবেক সদস্য জাফর মোল্যা ও কাবির বিশ্বাস, উদীচীর বড়দিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায়, স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম শিমুল, সরদার আব্দুল করিম ও ওবায়দুর খন্দকার।
![]()
বক্তারা জানান, বড়দিয়া বাজার থেকে খাশিয়াল হয়ে নড়াগাতী থানাগামী সড়কটি এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াত পথ। এর মধ্যে খাশিয়াল থেকে নড়াগাতী পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার অংশ ভেঙে যাওয়ায় আড়াই বছর আগে সংস্কারের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ কাজ শুরু করলেও প্রায় এক বছর আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ ফেলে চলে যাওয়ার পর তা আর এগোয়নি। খুঁড়ে ফেলা সড়কটি এখন বৃষ্টিতে কাদা ও জলাবদ্ধতায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন হাজারও মানুষ এই পথে যাতায়াত করলেও যান চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলশিক্ষার্থী, কৃষক, রোগীসহ সবাই চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।
চেয়ারম্যান বি এম বরকত উল্লাহ বলেন, আড়াই বছরেও রাস্তার কাজ শেষ হলো না। পুরো রাস্তাজুড়ে খানাখন্দ। কয়েকদিন আগে দুর্ঘটনায় একজন মারা গেছেন। প্রতিদিন ইজিবাইক আর ভ্যান উল্টে যাচ্ছে। আগের সরকার চলে গেল, কিন্তু নতুন সরকারের চোখে কি পড়ে না এই দুরবস্থা? আমরা চাই, অবিলম্বে এই রাস্তার কাজ শেষ করা হোক। না হলে বাধ্য হয়ে সওজ কার্যালয় ঘেরাও করব।
সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালে ‘ইউনূস অ্যান্ড ব্রাদার্স’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা কাজ শেষ না করে সরে যায়। তাই কার্যাদেশ বাতিল ও তাদের জরিমানা করা হয়। নতুন ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এসব কারণে জন্য সংস্কার কাজে দেরি হচ্ছে। এক মাসের মধ্যে অনুমোদন দেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

