সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কোরবানির হাট কাঁপাবে ১৭ মণের ‘তুফান’

ইউসুফ দেওয়ান রাজু, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৫, ১২:০১ পিএম

শেয়ার করুন:

কোরবানির হাট কাঁপাবে ১৭ মণের ‘তুফান’

এবার কোরবানির ঈদে হাট কাঁপাচ্ছে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের বাহমা শাহী আল জাতের বিশাল ষাঁড় ‘তুফান’। হাটে তোলার আগেই সিরাজগঞ্জে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ‘তুফান’। ১৭ মণ ওজনের বিশাল দেহের ষাড়টি দেখতে অসংখ্য ক্রেতা সাধারণের কৌতূহল আর আগ্রহে দিন দিন ভিড় বাড়ছে। শুধু আকারে নয়, আচরণ আর খাদ্যতালিকায়ও এই ষাঁড় যেন একেবারে রাজকীয়। ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরুটির দাম ৬ লাখ টাকা হাঁকছেন মালিক মইনুল হোসেন।

স্থানীয়রা জানান, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ধলেশ্বর গ্রামে এক ঝড়ের রাতে জন্ম নেওয়া লাল রঙের ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছিল ‘তুফান’। সেই নামের সার্থকতা যেন প্রমাণ করছে আজ তিন বছর সাত মাস বয়সী এই বাহমা শাহী আল জাতের বিশাল ষাঁড়। ওজন প্রায় ১৭ মণ বা ৬৮০ কেজি। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এখন এলাকাজুড়ে তুফান হয়ে উঠেছে কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু। তুফানকে প্রতিদিন খাওয়ানো হয় দেশি ঘাস, খইল, ভুসি ও ছোলাজাতীয় প্রাকৃতিক খাদ্য।


বিজ্ঞাপন


thumbnail_1000109665

১৩ বছর আগে প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে মাত্র ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি গাভি কিনে খামার শুরু করেন মইনুল। ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন একটি আধুনিক খামার। বর্তমানে তার খামারে হলেস্টেইন, ফ্রিজিয়ান ও শাহীওয়াল সব মিলিয়ে ১২টি উন্নত জাতের গরু রয়েছে। সব মিলিয়ে খামারের বাজারমূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

মালিক মইনুল হক জানান, ষাঁড়টিকে বড় করতে কোনো ধরনের স্টেরয়েড বা কৃত্রিম মোটাতাজাকরণ ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি। পুরোপুরি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে লালন-পালন করা হয়েছে তুফানকে।

thumbnail_1000109663


বিজ্ঞাপন


তুফান সম্পর্কে মইনুল বলেন, ও আমার পরিশ্রম আর ভালোবাসার ফল। শুধু গরু নয়, পরিবারের সদস্য হিসেবেই দেখি দেখা হয়।’ এবারের কোরবানির ঈদে তুফানের দাম হাঁকছেন তিনি ৬ লাখ টাকা। তবে দাম ছাড়াও তিনি খুঁজছেন এমন একজন ক্রেতা, যিনি তুফানের মূল্য অনুভব করতে পারবেন।

তুফানকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন আশপাশের লোকজন। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন, কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিচ্ছেন শেয়ার। স্থানীয় ব্যাপারীরাও তুফানে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তবে এখনও বিক্রির সিদ্ধান্ত নেননি মইনুল।

আরও পড়ুন

নাটোরে ৫ লাখ কোরবানির পশু প্রস্তত: শেষ সময়ে পশু যত্নে ব্যস্ত খামারিরা

কামারখন্দ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম সরকার জানান, কামারখন্দ উপজেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ৫৬ হাজার গরু, যেখানে স্থানীয় চাহিদা ১৫ হাজার। খামারিদের সহযোগিতায় চলছে উঠান বৈঠক, পরামর্শ ও চিকিৎসাসেবা।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর