আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজবাড়ীতে কোরবানির পশুর হাট জমতে শুরু করেছে। তবে এখনও আশানুরূপ বিক্রি শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন খামারিরা। তবে এখনও পুরোপুরি জমে না উঠলেও, আগামী দুই হাটে ক্রয়-বিক্রয় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, এ বছর জেলার ৭ হাজার ৭০৮টি ছোট বড় খামারে প্রায় ৪৮ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। জেলাতেই চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত পশু অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হবে।
বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, জেলার ২৯টি হাটে কোরবানির পশু কেনা-বেচা হবে। যার মধ্যে ২০টি স্থায়ী ও ৯টি অস্থায়ী। হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধান ও রোগ নির্ণয়ের জন্য ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে। গত শনিবার দুপুরে রাজবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী কুঠির হাটের ঘুরে দেখা গেছে, দূর-দুরান্ত থেকে নছিমন, পিকআপ গাড়িযোগে কোরবানির পশু গরু, ছাগল নিয়ে বাজারে এসেছেন খামারি ও পশু ব্যবসায়ীরা। পশুর হাটে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা ও খামারিদের উপস্থিত বেশি চোখে পড়ে। কেউ আদরের গরুটাকে নিজ হাতে কাচা ঘাস খাইয়ে দিচ্ছেন। কেউ বা আবার ছাগলের গলার রশি হতে দাঁড়িয়ে আছেন।

ছাগল বিক্রেতা মো. রহিম মোল্লা বলেন, তার স্ত্রী গত দেড় বছর ধরে একটি খাসি লালন পালন করেছে। যার ওজন ৬০ কেজির ঊর্ধ্বে। বাজারে ছাগলটির দাম ৪০ হাজার টাকার বেশি না হওয়ায় বিক্রি না করেই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। সামনের হাটে আবার আনব।
বিজ্ঞাপন
গো খামারি করিম সরদার বলেন, প্রাকৃতিক উপায়ে কাঁচা ঘাস, খৈল, ধানের কুঁড়া ও ভুট্টা দিয়ে খাওয়ানোর মাধ্যমে খামারে পশু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বেড়েছে পশু মোটাতাজাকরণে খরচ। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর পশুর দাম বেশি।
অন্য দিকে বিক্রেতারা বলছেন, গো-খাদ্যের দামের কারণে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে কোরবানির পশু।
কুঠির হাট বাজারের গো-হাটের ইজারাদারের পক্ষের মো. মামুন হাওলাদার বলেন, বছরের প্রতি সপ্তাহের শনিবার এ হাটে পশু বেচা কেনা করা হয়। ঈদকে কেন্দ্র করে বুধবার, শুক্রবার ও শনিবার হাট বার রয়েছে। বাজারে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু উঠলেও ক্রেতার সমগম কম। এ হাটে পশু ব্যবসায়ীদের আর্থিক নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও হাট কমিটির পক্ষ থেকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রাজবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে সদর থানার আওতাধীন সব পশুর হাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও পশু ব্যবসায়ীদের আর্থিক নিরাপত্তায় মলমপার্টি, ছিনতাইকারী, জাল নোট ব্যবহারকারীদের ধরতে পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হক জানান, কোনোভাবেই সরকার নির্ধারিত রেটের চেয়ে অতিরিক্ত হারে খাজনা আদায় করা যাবে না। এ বিষয়ে প্রমাণসহ কোনো অভিযোগ পেলে জরিমানাসহ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

