রাজশাহীতে ‘বিয়ের চাপে রাজি না হওয়ায়’ প্রেমিকার হাতে এক যুবক হত্যার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই দু্জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত ওই যুবকের নাম রশিদুল মন্ডল (২৫)। তিনি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার পয়লান গ্রামের জহির মন্ডলের ছেলে। রাজমিস্ত্রির পাশাপাশি বিভিন্ন কৃষি কাজে রাজশাহী আসতেন বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম।
গ্রেফতাররা হলো— নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার সায়েরগাছা এলাকার একরামুল ইসলাম ভাদুর মেয়ে মেরিনা খাতুন (২১) ও ঈশা হকের মেয়ে নেশা খাতুন (২২)।
রফিকুল আলম জানান, মেরিনা সায়েরগাছার বুলবুল আহম্মেদের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো। পূর্বপরিচয়ের সুবাদে রশিদুলের সঙ্গে মেরিনা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীর ‘ব্রেকআপ টেবিলে’ যত কারবার
মঙ্গলবার (১৪ জুন) রশিদুল মেরিনার সাথে দেখা করতে বুলবুল আহম্মেদের বাড়িতে আসেন। কথাবার্তার এক পর্যায়ে বিয়ের কথা বললে পরিবারের সাথে কথা বলে জানাতে চায় রশিদুল। কিন্তু মেরিনা রাতেই বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ ও জবরদস্তি করতে থাকে।
বিজ্ঞাপন
রাত ১১টার দিকে চলে যেতে চাইলে বাঁধা দিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে রশিদুলকে ধাক্কা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠার আগেই নেশা খাতুনকে নিয়ে মরদেহ বাড়ির ছাদের স্টোর রুমে তালাবদ্ধ করে রাখে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (১৫ জুন) সকাল পৌনে ১০টার দিকে আরএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা) শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজসহ একটি টিম সায়েরগাছার ওই বাসায় অভিযান চালান। এসময় মেরিনা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে মেরিনার দেওয়া তথ্যমতে রশিদুলের মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং তার সহযোগী নেশা খাতুনকে গ্রেফতার করে। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান আরএমপি মুখপাত্র।
প্রতিনিধি/এএ
