ফেনীতে কলেজছাত্রী মিত্রা রানী নাথ (২০) এর মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। ওই ছাত্রীর কোথায় মৃত্যু হয়েছে; কীভাবে মৃত্যু হয়েছে এবং মৃত্যুর সময় তার সাথে কে বা কারা ছিল; এসব প্রশ্নের ধোঁয়াশার মধ্যেই সোমবার (১৯ মে) ফেনী মডেল থানায় নিহত মিত্রার পিতা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তিনি অজয় সাহা (২১) নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করেছেন। অজয় সাহা ফেনী পৌরসভার পশ্চিম মধুপুর এলাকার জয়ন্ত সাহার ছেলে।
জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফেনী মডেল থানায় গুরুতর জখম ও রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা এসে মিত্রা রানী নাথকে হাসপাতালে ভর্তি করান। কিছুক্ষণ পরই মিত্রা রানী মারা যান। হাসপাতালের ভর্তির সময় অজ্ঞাত আনয়নকারী ব্যক্তিরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের খাইয়ারা নামক স্থানে মিত্রা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানিয়ে চলে যান। তবে ফাজিলপুর হাইওয়ে পুলিশ ও ঘটনাস্থলের স্থানীয়রা শনিবার রাতে খাইয়ারাসহ আশপাশের এলাকায় কোনো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করে আসছেন।
বিজ্ঞাপন
নিহত মিত্রা রানী ফেনী শহরের মাস্টার পাড়াস্থ স্বপ্নারাণী ভবনের ভাড়াটিয়া তপন লাল নাথের মেয়ে। তিনি ফুলগাজী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী হলেও ফেনী সরকারি কলেজেই শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে সক্রিয় থাকায় মিত্রা ফেনীবাসীর পরিচিত মুখ ছিলেন।
আরও পড়ুন : মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে বাসচাপায় বাবা নিহত
মামলার এজাহারে নিহত মিত্রার পিতা তপন লাল নাথ উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত অজয় সাহা তার মেয়ে মিত্রাকে নিয়ে মহাসড়কের লালপোল এলাকায় বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর সময় ছিটকে পড়ে মিত্রা মারা গেছে। এজন্য তিনি অজয় সাহাকে আসামি করে সড়ক পরিবহন আইনের ৯৮/১০৫ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামছুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিত্রা রানী নাথ নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।
প্রতিনিধি/এফএ

