গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হেডকোয়ার্টার থেকে তিস্তা ব্রিজের একমাত্র সংযোগ সড়কটিতে অসংখ্য গর্ত দেখা গেছে। এভাবে আর কয়েকদিন চললে পুরো সড়কটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন পথচারীরা। রাস্তার পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় গত দুই দিনের বৃষ্টিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
রোববার (১৮ মে) বিকেলের দিকে ওই সড়কে কথা হয় রিকশাচালক মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কুটি-কুটি টেকার কাম। সড়ক থাকি পানি বাইর করি দেওয়ার ঘাটা নাই। ক্যামন করি সড়ক টিকপে হামার। আর কয়দিন ঝরি হইলে এ সড়ক দিয়া ইস্কা চলাতো দূরের কথা হাঁটি যাওয়ায় মুশকিল হইবে হামাগুলার’।
বিজ্ঞাপন
একইসঙ্গে মোটরসাইকেল আরোহী মাহফুজার রহমান লেলিন বলেন, ‘গত ২-৩ দিনের সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের এ দুরবস্থা। বর্ষাকাল এখনও দেরি আছে। তখন কি হবে বুঝতে পারছি না। দ্রুত পানি নামার ব্যবস্থা না করলে এ সড়ক কাজে লাগবে না আমাদের’।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। শহর থেকে তিস্তা ব্রিজের যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটিতে ওয়াপদা বাঁধের বালু মিশ্রিত মাটি ব্যবহার করা হয়েছিল। সড়কে নেই স্লোপ ড্রেইন। প্রটেকশন ওয়াল নেই। আর এসব কারণে সড়কটির এ দুরবস্থা হয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে লিখেছি। অনুমোদন পেলেই স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপাতত জিওবি মেইনটেনস কর্মসূচির মহিলাদের দিয়ে সড়কটি রক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছি বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি ফেসবুকে দেখেছি। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেছি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এসএস

