টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৭ মে) বিকেলে গ্রেফতার চারজনের মধ্যে দু’জনকে টাঙ্গাইল সদর থানায় সোপর্দ করে পুলিশ এবং একজনের জবানবন্দী নিয়ে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বিদেশে পালানোর সময় বিমানবন্দর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আটক
গত শুক্রবার (১৬ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের পাথাইলকান্দি এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন - উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়ন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাগর আলী (২৭), ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও আব্দুস ছাত্তার ফকিরের ছেলে সুমন ফকির (৩২) এবং অপরজন চর পাথাইলকান্দি গ্রামের শাহ আলম প্রামাণিকের ছেলে মামুন প্রামাণিক (৩০)।
অন্যদিকে মির্জাপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নিষিদ্ধ সংগঠনের যুবলীগ নেতা পাকের আলীকে একই দিন রাতে নিজ এলাকা থেকে আটক করে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। পরে তাকে রাতেই মির্জাপুর থানায় প্রেরণ করে। তিনি উপজেলা পৌর শহরের বীরহাটি গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বাবুর ভাইসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, গত ১৪ এপ্রিল বুধবার রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে মশাল মিছিলে অংশ নেওয়ার জন্য গ্রেফতার ব্যক্তিদের নির্দেশ দেয় টাঙ্গাইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি ছোট মনির। জিজ্ঞাসাবাদে এ বিষয়টি স্বীকার করে গ্রেফতার পাকের আলী, সাগর আলী ও সুমন। মামুন তাদের সহযোগী ছিল। পরে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করাসহ একজনের জবানবন্দী নিয়ে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হয়। মিছিলে আরও যারা অংশ নেন তাদেরকেও শনাক্ত করে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ

