চুয়াডাঙ্গায় টানা পাঁচ দিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। প্রচণ্ড গরম ও রোদের কারণে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। দিনের পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রাও বাড়ছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষকে জীবিকার তাগিদে রোদে পুড়েই কাজ করতে হচ্ছে।
রোববার (১১ মে) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন (শনিবার) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসও রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়, যা ছিল চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ।
বিজ্ঞাপন

প্রচণ্ড রোদের কারণে মাটি থেকেও উত্তাপ বের হচ্ছে। সকাল থেকেই শুরু হয় রোদের তেজ আর ভ্যাপসা গরম, যা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও তীব্র আকার ধারণ করছে। এ পরিস্থিতিতে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে। দিনমজুর, রিকশাচালকসহ শ্রমজীবী মানুষজন কাজ করতে না পেরে অলস সময় কাটাচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গা ভালাইপুর মোড় এলাকার কৃষক আবদুল গফুর বলেন, সকাল থেকেই প্রচণ্ড রোদ। খোলা মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। রোদে মাথা ফেটে যাওয়ার মতো অবস্থা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
বড়বাজারে তুহিন হোসেন নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, প্রতিদিন সবাই মোটরসাইকেল নিয়ে বের হই। সারাদিন রোদে ঘুরতে হয়। গত দুই দিন ধরে প্রচণ্ড রোদে পুড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছি।

চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন এলাকায় কুদরত নামে এক বৃদ্ধ বলেন, ৭০ বছরের জীবনে এত গরম দেখিনি। আগে গরম পড়লে গাছের ছায়ায় বসতাম, বাতাসও ছিল মন জুড়ানো। এখন চারদিকে শুধু বড় বড় বিল্ডিং, গাছগাছালি নেই, বাতাসও আসে না।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় টানা পাঁচ দিন ধরে তাপপ্রবাহ বইছে। আজ বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল মাত্র ২৬ শতাংশ। তবে কাল বা পরশুর মধ্যে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস

