সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ঢাকা

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, বিপর্যস্ত জনজীবন

জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা
প্রকাশিত: ১০ মে ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম

শেয়ার করুন:

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, বিপর্যস্ত জনজীবন
তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা। ছবি: ঢাকা মেইল

চুয়াডাঙ্গায় টানা কয়েক দিন ধরে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ শনিবার (১০ মে) বেলা ৩টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান ঢাকা মেইলকে জানান, এ জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ২৯ শতাংশ। এরপর তাপমাত্রা আরও বেড়ে বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ২৩ শতাংশ।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

দেশজুড়ে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে  

এদিকে প্রখর তাপপ্রবাহ আর গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা। দিনের পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রাও বাড়ছে। জীবিকার তাগিদে তীব্র রোদে পুড়ে কাজ করতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষকে।

Chuadanga3

ঘরে-বাইরে কোথাও এক মুহূর্ত স্বস্তি মিলছে না। তীব্র রোদের কারণে তাপ উঠছে মাটি থেকেও। সকাল থেকেই থাকছে রোদের তাপ, ভ্যাপসা গরম। এতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। রোদের তীব্র তাপে মানুষ বাইরে বের হতে পারছেন না। দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময় পার করছেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

তাপদাহে পুড়ছে দেশ, রাজধানীতেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় হাঁসফাঁস

রবিউল ইসলাম নামে এক কুলফি আইসক্রিম বিক্রেতা বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করি, দেশের ৪০-৪৫টা জেলা ঘুরেছি। কিন্তু চুয়াডাঙ্গার মতো এমন গরম কোথাও দেখিনি। রাস্তায় হেঁটে হেঁটে মালাই বিক্রি করা যাচ্ছে না। মুখ পুড়ে যাচ্ছে, হাড়ির বরফও গলে যাচ্ছে।’

Chuadanga1

রাজীব হাসান নামে এক অটোরিকশাচালক বলেন, ‘দিনে যেমন গরম, রাতে তেমনই। কোনো সময়ই শান্তি নেই। আবার বিদ্যুৎও থাকছে না। খুব কষ্টে দিন কাটছে। যাত্রীও খুব কম।’

আরও পড়ুন

সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে তাপপ্রবাহ!

সুমন নামে এক পথচারী বলেন, ‘রাস্তায় হাঁটার কোনো উপায় নেই। মনে হচ্ছে আগুনের মধ্যে দিয়ে হাঁটছি।’

প্রতিনিধি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর