ভোলার চরফ্যাশনে বাস শ্রমিকদের ডাকে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট চলছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
বাস শ্রমিক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের মধ্যে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় এই ধর্মঘট ডাকেন বাস শ্রমিকরা।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে জেলার কোনো রুটেই বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। এর আগে রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে ভোলার চরফ্যাশনে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর ওইদিন বিকেলেই বাস শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘটের ডাক দেন।
আজ সকালে ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ভোলার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিকল্প যানবাহন হিসেবে রিকশা, অটোরিকশা এবং মাইক্রোবাসে করে গন্তব্যে ফিরতে হচ্ছে তাদের। এতে করে তাদেরকে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে। কেউ কেউ আবার যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
চরম ক্ষোভ আর আক্ষেপ নিয়ে যাত্রীরা বলছেন, কিছু দিন পরপর ভোলার বাস শ্রমিক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়। আর এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ যাত্রীদের। তারা দ্রুত এর প্রতিকার চান।
এদিকে, ভোলার বাস শ্রমিকরা বলছেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা তাদের সঙ্গে যাত্রী ওঠানোকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ঝামেলা করে। তাই মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় তাদের বাস চলাচলের ধর্মঘট অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে বলেও তারা হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বিজ্ঞাপন
ভোলা সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক সমিতির সভাপতি মো. জাকির হোসেন জানান, গতকাল চরফ্যাশনে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে তাদেরও অটোরিকশার শ্রমিক আহত হয়েছেন। তবে বাস শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দিলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি দেওয়া হয়নি।
এদিকে, গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে বাস শ্রমিকরা তাদের ১০ থেকে ১৫টি অটোরিকশা আটক করে বাস ডিপোতে রাখেন। এছাড়াও গতকাল দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতায় বসার কথা থাকলেও সেটি হয়নি।
এর আগে, চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি বাস মালিক সমিতি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক সমিতির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় ৩ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ভোলা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপে তা সমঝোতায় ফিরে আসে। এখন আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
প্রতিনিধি/টিবি

