বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

কবরস্থান দখলের প্রতিবাদ করায় কৃষকদল নেতার হামলা, আহত ৩

জেলা প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

নেত্রকোনার বারহাট্টায় কবরস্থান দখলের প্রতিবাদ করায় কৃষকদল নেতার নেতৃত্বে প্রতি পক্ষের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। এসময় বাধা দিলে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ৩ জনকে জখম করেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে বারহাট্টা উপজেলার গুমুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


বিজ্ঞাপন


আহতরা হলেন, উপজেলার গুমুরিয়া গ্রামের আজিম মিয়া (৩০), সালমা আক্তার ওরফে লংজান (৫০) ও তারাজান আক্তার (৪০)।

অভিযুক্ত বাবুল মিয়া উপজেলার গুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের হালান মিয়াদের শতবর্ষী একটি কবরস্থান গত ৫ আগস্টের পর দখল করে নেন কৃষকদল নেতা বাবুল মিয়া। এ নিয়ে বাবুল ও হালান মিয়াদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। গত এক সপ্তাহ আগে বাবুল মিয়ার একটি সেলাই মেশিন চুরি করে নেয় বাবুলের ভাতিজা। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর কাছে বিচার দেওয়ার পর তারা এটি সমাধানের চেষ্টা করে। কিন্তু কোনো সমাধানে না পৌঁছায় ২-৩ দিন আগে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেন হালান মিয়া। এতে আরও ক্ষিপ্ত হন বাবুল। এর জেরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হালান মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায় বাবুল ও তার লোকজন। হামলাকারীরা রামদা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কুপিয়ে নারীসহ তিনজনকে জখম করে। এসময় ঘর বাড়ি ভাঙচুর করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে বারহাট্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

ইউপি চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ, নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ

এ বিষয়ে হালান মিয়া বলেন, ৫ আগস্টের পর আমাদের শতবর্ষী কবরস্থান দখল করে নেয় বাবুল। কিছুদিন আগে আমাদের একটা সেলাই মেশিন চুরি করে তার ভতিজা। এ নিয়ে  সালিশে সমাধান না হওয়ায় থানায় অভিযোগ করেছি। এতে বাবুল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। দুপুরে ১০-১২ জন মিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে এসে হামলা চালায়। এসময় বাধা দেওয়া কুপিয়ে ও পিটিয়ে দুই বোন ও ভাগ্নেকে জখম করে।

অভিযুক্ত উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি বাবুল মিয়া বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমার রেকর্ডের জমিতে থাকা কবরস্থান হালান মিয়া ও তাদের লোকজন দখলে নিয়ে নেয়। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। পরে এসব নিয়ে আমার চাচাতো ভাইদের সঙ্গে তাদের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে আমি জড়িত নই।

এ বিষয়ে বারহাট্টা থানার ওসি কামরুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে এখনও থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন