নেত্রকোনার বারহাট্টায় কবরস্থান দখলের প্রতিবাদ করায় কৃষকদল নেতার নেতৃত্বে প্রতি পক্ষের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। এসময় বাধা দিলে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ৩ জনকে জখম করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে বারহাট্টা উপজেলার গুমুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
আহতরা হলেন, উপজেলার গুমুরিয়া গ্রামের আজিম মিয়া (৩০), সালমা আক্তার ওরফে লংজান (৫০) ও তারাজান আক্তার (৪০)।
অভিযুক্ত বাবুল মিয়া উপজেলার গুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের হালান মিয়াদের শতবর্ষী একটি কবরস্থান গত ৫ আগস্টের পর দখল করে নেন কৃষকদল নেতা বাবুল মিয়া। এ নিয়ে বাবুল ও হালান মিয়াদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। গত এক সপ্তাহ আগে বাবুল মিয়ার একটি সেলাই মেশিন চুরি করে নেয় বাবুলের ভাতিজা। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর কাছে বিচার দেওয়ার পর তারা এটি সমাধানের চেষ্টা করে। কিন্তু কোনো সমাধানে না পৌঁছায় ২-৩ দিন আগে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেন হালান মিয়া। এতে আরও ক্ষিপ্ত হন বাবুল। এর জেরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হালান মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায় বাবুল ও তার লোকজন। হামলাকারীরা রামদা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কুপিয়ে নারীসহ তিনজনকে জখম করে। এসময় ঘর বাড়ি ভাঙচুর করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে বারহাট্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হালান মিয়া বলেন, ৫ আগস্টের পর আমাদের শতবর্ষী কবরস্থান দখল করে নেয় বাবুল। কিছুদিন আগে আমাদের একটা সেলাই মেশিন চুরি করে তার ভতিজা। এ নিয়ে সালিশে সমাধান না হওয়ায় থানায় অভিযোগ করেছি। এতে বাবুল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। দুপুরে ১০-১২ জন মিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে এসে হামলা চালায়। এসময় বাধা দেওয়া কুপিয়ে ও পিটিয়ে দুই বোন ও ভাগ্নেকে জখম করে।
অভিযুক্ত উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি বাবুল মিয়া বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমার রেকর্ডের জমিতে থাকা কবরস্থান হালান মিয়া ও তাদের লোকজন দখলে নিয়ে নেয়। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। পরে এসব নিয়ে আমার চাচাতো ভাইদের সঙ্গে তাদের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে আমি জড়িত নই।
এ বিষয়ে বারহাট্টা থানার ওসি কামরুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে এখনও থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস