পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের তেইশের ছিলার শাপলারবিল এলাকায় লাগা আগুন নিভে গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকে কোথাও নতুন করে কোনো আগুনের ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়নি। বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন লাগার পুরো এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখছে। আগুন লাগার স্থানের লতাপাতার নিচেই কোথাও চাপা আগুন রয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণে রেখেছে বনবিভাগ। তবে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আগুনের এলাকা পর্যবেক্ষণে রাখবে বনবিভাগ। নতুন করে আগুন দেখা না গেলে আজই আগুন নেভানোর কাজ সমাপ্তি ঘোষণা করবে বনবিভাগ।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৪ মার্চ) রাতভর জোয়ারের পানি তুলে ছিটানোর কারণে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানান, পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম।
তেইশের ছিলার শাপলারবিল এলাকায় লাগা আগুন অন্তত চার একরজুড়ে ছড়িয়েছে। এই এলাকার লতাগুল্ম বলা জাতীয় গাছপালা পুড়ে গেছে। গত শুক্রবার পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজি টহল ফাঁড়ি এলাকায় আগুন লাগলে তা নেভানোর কাজ চলার মধ্যে রোববার দুপুরে একই রেঞ্জের তেইশের ছিলার শাপলারবিল এলাকায় আগুন লাগার খবর আসে। রোববার রাত থেকে ফায়ার সার্ভিস ও বনবিভাগ আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
রোববার রাত থেকে সুন্দরবনে লাগা আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের দশটি ইউনিট একযোগে কাজ শুরু করে। নতুন এলাকায় যাতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ফায়ার লাইন কেটে দেয় বনবিভাগ ও গ্রামবাসী।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম মঙ্গলবার সকালে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় মরা ভোলা নদীতে জোয়ার আসলে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট বনের আগুনে পানি ছিটানোর কাজ শুরু করে। গভীর রাত পর্যন্ত পানি ছিটানো হয়। পর্যাপ্ত পানি পাওয়ায় আগুনের পুরো এলাকা ভেজানো গেছে। যার কারণে আজ সকালে নতুন কোথাও আগুনের চিহ্ন দেখা যায়নি। বলা যায় আগুন নিভে গেছে। বনের আগুন যেহেতু মাটির নিচ থেকে ছাড়ায় সেকারণে আমরা এখনই পানি ছিটানোর কাজ বন্ধ করছি না। ওই এলাকা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। দুপুর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখব। নতুন আগুন না থাকলে দুপুরে পরে আনুষ্ঠানিকভাবে আগুন নেভানোর কাজ সমাপ্তি ঘোষণা করতে পারবেন বলে আশা করছেন এই বন কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, তেইশের ছিলার শাপলারবিল এলাকায় লাগা আগুনে লতাগুল্ম জাতীয় বলা গাছ পুড়ে গেছে। এখানকার আগুনের বিস্তৃতি চার একরের মতো হবে। বনের পৃথক দু’টি আগুনের ঘটনা তদন্ত করতে দু’টি কমিটি আগুনের সূত্রপাত ও বনভূমির ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরুপণের কাজ শুরু করেছে। তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা জানানো হবে।
প্রতিনিধি/এসএস