বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির বলেছেন, বিএনপি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, কেউ কেউ এখন সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা বলছেন। প্রফেসর আলী রিয়াজ সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের প্রস্তাবনা দিয়েছেন। এই ব্যাপারে বিএনপির ভূমিকা বা অবস্থান খুব পরিস্কার, বিএনপি এই ধরনের নির্বাচন চায় না।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২২ মার্চ) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিতে আসন বণ্টন হয় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে। অর্থাৎ প্রদত্ত সব ভোট একটি সুষ্ঠু নির্বাচনী ফলাফল গঠনে অবদান রাখে এবং কার্যকরভাবে কাউকে নির্বাচিত করতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত অন্যান্য নির্বাচনী ব্যবস্থার অধীনে একটি আপেক্ষিক বা স্বল্প সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে ব্যবহৃত হয়। অপরপক্ষে, সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায় বিভিন্ন দলকে সুষম হারে প্রতিনিধিত্ব প্রদান করা হয়, যার মাধ্যমে প্রদত্ত ভোট কীভাবে প্রদান করা হয়েছে তা প্রতিফলিত হয়।
ব্যারিস্টার নওশাদ বলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে বিএনপি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন মেনে নেবে না। কারণ এই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন মানে আপনি ফ্যাসিস্ট এবং তাদের দোসরদেরকে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এইটা আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। নেপালে একটা প্রক্রিয়া করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু দুই বছরে তাদের সরকার ৯ বার পরিবর্তন হয়েছে।
নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ রেখে তিনি আরও বলেন, আমি করজোরে আপনাদের বলছি আজকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন। আজকে যারা এই সব কাজ করছে এরা রাজনীতিবীদ নয়। এরা রাজনৈতিক দুবৃত্ত। আপনারা যদি কোথাও এইরকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেন তাদের প্রতিহত করুন। রাজনৈতিক দুবৃত্তদের হাত থেকে আমাদের দলকে বাঁচাতে হবে। না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
বিজ্ঞাপন
‘আপনারা প্রতিহত করুন। না হলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নেব। আবার আপনাদের কাছে অনুরোধ রাজনৈতিক চাঁদাবাজি, দুর্বৃত্ত, জমি দখল এসবের কোনো কিছুই আপনারা মেনে নেবেন না। প্রতিহত করুণ। রাজনীতিকে ব্যবসার হাতিয়ার বানাবেন না। রাজনীতি ব্যবসার হাতিয়ার নয়।’
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহদৎ হোসেন রঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রংপুর বিভাগীয়সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব রেজাউল করিম শাহীন প্রমুখ।
ইএ