বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, গণতান্ত্রিক সরকারের নিয়ম অনুযায়ী দেশের প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে সকল রাজনৈতিক দলের আলোচনা হওয়া উচিত। সেনাপ্রধানকে বিতর্কিত করার কোনো সুযোগ নেই। বিতর্কিত না করাটাই ভালো। দেশের জন্য ভালো। উনি উনার জায়গায় আছে, উনার জায়গায় থাকবেন। কিন্তু কিছু বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এই বিতর্ক ঠিক হচ্ছে না। ৫ ও ৬ আগস্ট উনি আমাদের মতো দেশের জন্য দায়িত্ব নিয়েছেন। সুতরাং সেনানিবাস ও সেনাপ্রধানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, এটাও জাতির জন্য ভালো হবে না। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা যারা অবতীর্ণ ছিলাম, সবাইকে দৃঢ় ঐক্যের মধ্যে থাকতে হবে। সুদৃঢ় ঐক্য খুব জরুরি। বিভিন্ন রাজনৈতিক আলোচনা, রাজনৈতিক দলের মধ্যে থাকা উচিত। ব্যক্তি আলোচনায় যাওয়া উচিত না।
শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা ওলামা দলের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। জেলা শহরের পুরাতন গো-হাটা সড়কের বশির ভিলা মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ্যানি বলেন, দেশে গভীর চক্রান্ত চলছে। ১৭ বছর কষ্ট করলাম, অত্যাচার-নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার জন্য। লড়াই করলাম ভোটের জন্য। এখন সেই ভোট নিয়ে চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্ত মেনে নেব না। মেনে নেওয়া হবে না, কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। আমাদের ঘাম, শ্রম ও রক্ত আছে। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী জেল খেটেছি, অত্যাচারিত ও নির্যাতিত হয়েছি। আমাদের আসল স্বার্থ হচ্ছে দেশটাকে রক্ষা করা ও সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সে টার্গেটে পৌঁছাতে হলে একটি গণন্ত্রের শক্ত ভিত প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গণতন্ত্রের ভীতকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। গণতান্ত্রিকভাবে একটি নির্বাচন হলে কেউ না কেউ ক্ষমতায় আসবে, দেশ শাসন করবে। জনগণের দল হিসেবে এটা বিএনপি আশা করতে পারে। স্বাভাবিক কারণে এটি কিছু লোকের ভালো লাগবে না। যাদের এতোদিন ভালো লাগেনি, তারা তো পালিয়ে গেছে। কিন্তু তাদের সব লোক ও টাকা পালায়নি। তারা এখন গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এ গভীর ষড়যন্ত্র তারা কিছু কিছু লোক নিয়ে করছে। যারা বিএনপির ভালো চায় না, যারা বিএনপি ক্ষমতায় আসুক; এটা চায় না, যারা এদেশে গণতন্ত্রে ভিত শক্তিশালী হোক; এটা চায় না। সুতরাং সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ এমরানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাওলানা নুরুল আলমের সঞ্চালনায় এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, সদর উপজেলা (পূর্ব) বিএনপির আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবির স্বপন প্রমুখ।
প্রতিনিধি/এফএ