নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় তারা মিয়া (৬২) নামের এক ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত অবস্থায় ক্ষত-বিক্ষত গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে গড়াডোবা ইউনিয়নের ওয়াই গ্রামের সড়কের পাশে সাঁতারখালি খাল থেকে স্থানীয় থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য
মরদেহ নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
নিহত তারা মিয়া ওয়াই উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় বাশাটি বাজারে আলু-পেঁয়াজসহ বিভিন্ন কাঁচামালের ব্যবসা করতেন।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা, নিহতের পারিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তারা মিয়া গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত বাশাটি বাজারে দোকান খুলে মালামাল বিক্রি করেন। পরে সেখানে তারারির নামাজ আদায় করেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ির দিকে রওনা দেন। কিন্তু বাড়িতে আর ফেরেননি। পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও পাননি। আজ শুক্রবার ভোর ছয়টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন গ্রামের সড়ক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় সড়কের পাশে ব্যাগ ও জুতা পড়ে থাকতে দেখেন। পরে এক ব্যক্তি কিছুদূর এগিয়ে সাঁতারখালি খালে তারা মিয়ার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে লাশটি শনাক্ত করেন।
নিহত তারা মিয়ার ছোট ভাই সোলাইমান মিয়া বলেন, তারা ভাই একজন সাধারণ ব্যবসায়ী হিসেবে সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। তিনি বিভিন্ন বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। দুর্বৃত্তরা কেনো তাকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, তা আমি বুঝতে পারছি না। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা ওই ব্যবসায়ীর মাথা, মুখ, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি কুপিয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এফএ