রোববার, ২৩ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

শূকরের বাচ্চা নিয়ে মারামারি, বিএনপির দুই নেতা হাসপাতালে 

জেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল 
প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শূকরের বাচ্চা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির দুই নেতা আহত হয়েছেন। পরে তাদের উপ‌জেলা স্বাস্থ‌্য কমপ্লেক্সে ভ‌র্তি করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আহত সফিকুল ইসলাম ফকির এ বিষয়টি জানিয়েছেন। 


বিজ্ঞাপন


গত বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের কুঠিবয়ড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

সফিকুল ইসলাম জানান, কয়েক দিন আগে শতাধিক শূকর নিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলার যমুনা নদীর কুঠিবয়ড়া এলাকায় এমটি মাদি শূকর দলছুট হয়ে ওই এলাকার আলমগীর মোল্লার বাড়িতে আসে। সেখানে ওই গর্ভবতী শূকরটি একাধিক বাচ্চা প্রসব করে। একপর্যায়ে শূকরের দলের দেখাশুনাকারী খবর পেয়ে আলমগীরের বাড়িতে আসে এবং সপ্তাহ খানেক সময়ের মধ্যে বাচ্চার সংস্পর্শে কাউকে যেতে নিষেধ করে। এরপর তারা সেখান থেকে চলে যায়। 

এরপর বাচ্চাগুলো স্বাভাবিক আকারে এলে আলমীর মোল্লার এক ভাতিজা আশিক মোল্লা পার্শ্ববর্তী একটি হিন্দু পরিবারের কাছে শূকরের বাচ্চাগুলো বিক্রি করে দেয়। পরে শূকরের দলের দেখাশুনাকারীরা খবর পেয়ে ফের আলমগীর মোল্লার বাড়িতে আসে বাচ্চাগুলো নিতে। কিন্তু বাচ্চা বিক্রির কথা শুনে তারা বিচার চেয়ে চলে যায়। 

এরই প্রেক্ষিতে গাবসারা ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সফিকুল ইসলাম ফকির এগিয়ে এলে তার সঙ্গে শূকরের বাচ্চা বিক্রয়কারী আশিক মোল্লা ও লিয়াকত মোল্লার তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে তারা তুমুল সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় সফিকুল ইসলাম ফকির ও ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোতা মোল্লা আহত হন।


বিজ্ঞাপন


এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে সফিকুল ইসলাম ফকির এবং তোতা মোল্লা ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি হন। 

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর