সংস্কার চলমান রেখেই দ্রুত নির্বাচন দেওয়া সম্ভব: বিএনপি নেতা ড্যানী

তিনি বলেন, যারা বিএনপিকে রাজনীতি থেকে সরানোর চেষ্টা করেছে তারাই হারিয়ে গেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা নিজের জীবন বাজি রেখে রাজনীতি করেছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদেরকে কিন্তু মানুষ এখনও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে ড্যানী বলেন, দেশের সর্বস্তরের জনগণ আপনাদের সমর্থন দিয়েছে। সেই সমর্থন প্রত্যাহার করার সময় চলে এসেছে কি না আমরা বলব না। নির্বাচন বিলম্বিত করে নিজেদেরকে বিতর্কিত করবেন না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার চলমান রেখেই নির্বাচন দেওয়া যায়।  মানুষের হারিয়ে যাওয়া ভোটের অধিকার পুণরায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই দায়িত্ব বাদ দিয়ে কোনো কৌশল বা পন্থা অবলম্বন যদি করেন বা সময়ক্ষেপণ করেন, তাহলে দেশের মানুষ মানবে না।

এই বিএনপি বলেন, দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে একটা ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় ছিল। যার কারণে এভাবে একত্রিত হওয়ার সুযোগ ছিল না। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকার পলায়নের কারণে এই সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমি আপনাদের ভাই, আমি আপনাদের সম্মানে আজকের ইফতার পার্টির আয়োজন করেছি। আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে, আপনাদের ভাই হিসেবে আমৃত্যু থাকতে চাই।

সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে চাঁদাবাজ, দখলবাজদের দলে কোনো স্থান হবে না।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন— জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, সাবেক সভাপতি এডভোকেট নূরুজ্জামান নূরু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. আরিফা জেসমিন নাহীন, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আব্দুল মান্নান তালুকদার, বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান খান রিজভী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা চৌধুরী, জেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি জাহিদ হাসান, সম্পাদক মাহবুবুল কিবরিয়া চৌধুরীসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিধি/টিবি